সম্প্রতি সিংহজানী খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানাকে গত ১৩ মে তারিখে খাদ্য অধিদপ্তরের ৮৫৮ নম্বর বদলির আদেশে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। একইসঙ্গে ঈশ্বরদী এলএসডি (১ম শ্রেণি), পাবনা'র সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খানকে সিংহজানী খাদ্য গুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
১৯ মে রোববার সকাল ১০টায় আসাদুজ্জামান কর্মস্থলে যোগদান করেন ও বেলা ১১টায় তিনি চার্জ গ্রহণ করার জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জনাব মাহবুবুর রহমান খানসহ জামালপুরের সিংহজানী খাদ্য গুদামে আসেন। এ সময় জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানা দায়িত্ব হস্তান্তর না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানা বদলির এই আদেশ অনুসারে দায়িত্ব হস্তান্তরে গড়িমসি করছেন। তিনি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান কর্মস্থলেই থাকতে চান।
ধান চাষি ও রাইস মিল মালিকদের অভিযোগ জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানার কারণে চলতি বোরো মৌসুমের ধান, গম ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না এবং এতে মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এর আগে দুই বার বোরে সংগ্রহ কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পরও তা পরিবর্তন করা হয়েছে শুধুমাত্র জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানার দায়িত্ব হস্তান্তরের গড়মসির কারণে।
এ নিয়ে স্থানীয় চাল মিল মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিষয়টি নিয়ে জিনাত শামছুন্নাহার সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি তার ব্যবহৃত ফোন রিসিভ করেন নাই।
এ বিষয়ে জামালপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহাবুবুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর জেলা চাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি জনাব আওলাদ হোসেন খসরু অতি দ্রুত এই অচলাবস্থার নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
আরএ