গভীর বঙ্গোপসাগরে গত ২৬ এপ্রিলের নিন্মচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ভারতরে উড়িষ্যায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শুক্রবার (৩মে) আঘাত হানে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভোর রাতের দিকে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানে।
পরবর্তীতে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে তথা আসামের দিকে যেয়ে এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অফিস ফণী’র শেষ বিশেষ বুলেটিনের ঘোষণায় জানিয়েছিল, লঘুচাপটি সীমান্ত অতিক্রম করেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।
আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুছ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। তবে বায়ুর প্রবাহটির কারণে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আছে। কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত আছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর বর্তমানে উত্তাল আছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে ২ থেকে ৪ ফুটের অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এই অবস্থায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া সোমবার (মে ০৫) সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারিপুর, খুলনা, বরিশাল,পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
ইইউডি/এসআইএস