ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ’র ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
বিজিএমইএ’র ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা বিজিএমইএ’র ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের নেতা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। 

শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনে সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোট গ্রহণ বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে  ভোট পড়েছে ৭৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

প্রায় পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত দেশের রফতানি বাণিজ্যে ৮৪ শতাংশ অবদান রক্ষাকারী তৈরি পোশাক শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা সরাসরি ভোটের সুযোগ পেলো।

ভোট গ্রহণের শুরুতেই স্বাধীনতা পরিষদের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। অন্যদিকে সম্মিলিত পরিষদের দাবি ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিজিএমইএ ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে ভবনে ভোটার ও মিডিয়া কর্মী ছাড়া প্রবেশে কড়াকরি আরোপ করা হয়।

মোট ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চট্টগ্রামের নয়টি পদে নেতা নির্বাচিত হওয়ায় এদিন শুধু ঢাকায় মোট ২৬টি পরিচালক পদের ভোট গ্রহণ হয়। এতে লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদের ২৬ জন ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।

ঢাকায় মোট এক হাজার ৫৮৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত পরিচালকরা বিজিএমইএ’র সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত পর্ষদ ২০১৯-২১ মেয়াদ সময়ে নেতৃত্ব দেবেন।  
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। এদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্বে আছেন আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমবার পরিষদ থেকে মো. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন। চুক্তি অনুযায়ী পরের মেয়াদ ২০১৭ সালে ফোরাম থেকে সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা। কিন্তু সহ-সভাপতি ও পরিচালকের অন্য পদগুলোর ব্যাপারে সমঝোতা হলেও সভাপতি একই ব্যক্তি থেকে যান। পরে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় সভাপতির পদে।

বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হবার পর দুই মোর্চার সমঝোতার ভিত্তিতে একটি প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে চান। তাতে বাঁধ সাধে একটি গ্রুপ। সরাসরি ভোটের দাবিতে গঠন করা হয় স্বাধীনতা পরিষদ নামে নতুন মোর্চা। যার আহ্বায়ক হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম।
 
নানা চাপ উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ প্রার্থী। তবে মূল কমিটি গঠন করতে হলে তাদের প্রত্যেককেই বিজয়ী হতে হবে।
 
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। এ যৌথ প্যানেল নির্বাচনে জয়ী হলে ফোরামের নেতা হিসেবে প্রথম বিজিএমই’র নারী সভাপতি হবেন তিনি। রুবানা হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।