ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

অনিয়ম রোধে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির স্থান পরিবর্তন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
অনিয়ম রোধে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির স্থান পরিবর্তন

মাদারীপুর: ‘প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাদারীপুরের শিবচরে ও শরিয়তপুরের জাজিরায় নির্মিত হতে যাওয়া শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির অনিয়ম রোধে পূর্ব নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্প এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সরকারি অর্থ হাতিয়ে নিতে রাতারাতি ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ এবং গাছপালা লাগিয়েছিল।

তবে এর মধ্যে শিবচরের অংশের অবৈধ স্থাপনা প্রশাসন উচ্ছেদ করলেও শরিয়তপুরের জাজিরা অংশে এখনও শত শত অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে। ফলে যে সব এলাকায় এখনো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, প্রকল্প থেকে ওই সব এলাকা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’

চীফ হুইপ বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লির নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে সংবাদমাধ্যে প্রচারিত নিউজ দেখে ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা যায়— এখানে ভালো কিছু হচ্ছে না। আমাদের নির্দেশনায় মাদারীপুরের প্রশাসন অবৈধ সব স্থাপনা ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু শরীয়তপুরের প্রশাসন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। ’

‘গত ২৪ মার্চ (রোববার) পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যে সব এলাকায় অবৈধভাবে ঘর-বাড়ি, গাছপালাসহ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেসব এলাকা এ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হবে। ’

দুই জেলায় এমন একটি প্রকল্প করতে গেলে শুধু অনিয়মই নয় ভবিষ্যতে আরও কিছু সমস্যা হবে উল্লেখ করে নূর-ই আলম চৌধুরী বলেন, ‘যেমন আইন-শৃঙ্খলা অবনতি হলে নিয়ন্ত্রণে জটিলতা সৃষ্টি হবে। তাই সংসদীয় কমিটি, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও  প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সবাই একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে আমরা শেখ হাসিনা তাঁতপল্লি একই উপজেলায় করব। আর এজন্য মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমরা জায়গা দেখে গেলাম। আমাদের পছন্দ হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে একটি টিম আসবে এখানে। তাদের পছন্দ হলে আগামী দুই মাসের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করতে পারবো। ’

প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সজল নূর, শিবচর পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন খান. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম পাঠক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোনাহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির চৌধুরী, নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল নোমান, নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান আতাহার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি লতিফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তোতা খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।