ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১১ গোপালগঞ্জ/ফাইল ফটো

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কাবির মিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা এবং বিভিন্ন স্থানে কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ ঘটনায় অন্তত ১১জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

  পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে মুকসুদপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ পাহারা জোরদার করেছে।

গুরুতর আহত আসাদকে মিয়াকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও টুকু কমিশনার (৫৫), তৌকির (১৮), আজগর (৩৮), গোলাম ফরহাদ (৫০), আল আমিন (১৮), কাদের (১৮), রুহুল আমিন (৪১), মাসুদ (২৯), মাহফুজ (২৩), হাফিজুরকে  (৩০ ) মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এ্যাড. আতিকুর রহমান মিয়া আনারস প্রতীকের প্রচারণায় মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের বলনারায়ণ বাজারে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (মুক্ত মুন্সী)’র সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটা-কাটির  ঘটনা ঘটে।  এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে উভয় গ্রপের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।   

আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. কাবির মিয়া অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, খান্দারপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্বির খানের নেতৃত্বে তার লোকজন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (মুক্ত মুন্সী)’র পক্ষ নিয়ে মুকসুদপুর ডিগ্রী কলেজ মোড়ে আমার নির্বাচনী প্রচারনার অফিস, আওয়ামী মটর চালক লীগের অফিস, হোটেল, সেলুন, মুদির দোকান, বন্ধ থাকা কয়েকটি দোকান, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি সামচুল আরেফিন মুক্তার নিজের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং কয়েকটি কাউন্টার ভাংচুর চালিয়েছে।  এছাড়াও  আনারসের প্রচারনার মাইক, অফিসের টেলিভিশন, কাউন্টারের তিনটি ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ দ্রব্যাদি লুট করে নিয়েছে।  

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জে দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি নিজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার আদর্শের একজন সৈনিক। কিন্তু আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম এম মহিউদ্দিন আহম্মেদ নিজেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়া খান্দারপাড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাব্বির খানসহ উপজেলার বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ভোটারদের মুক্ত মুন্সীর মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালাচ্ছে।   এছাড়াও ভাবড়াশুর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের মনোজ বিশ্বাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে মহিউদ্দিনের কর্মী-সমর্থকেরা। প্রতীক বরাদ্দের আগেও বনগ্রাম বাজারে আমার কর্মীর উপর হামলা করে আহত করা হয়েছিলো। আমি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।  

মুকসুদপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাসুদ করিম জানান, আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ( সার্কেল) রায়হান হোসেন বলেন, দুই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত। পরবর্তী অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মুকসুদপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।   

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৯, মার্চ ২০, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।