ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এশিয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রত্যাশা

মহিউদ্দিন মাহমুদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এশিয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রত্যাশা বিয়াট্রিস ফিন (বাঁয়ে) ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মিউনিখ থেকে: দক্ষিণ এশিয়ায় পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করছেন এ বিষয়ে নোবেলজয়ী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস-আইসিএএনের নির্বাহী পরিচালক বিয়াট্রিস ফিন।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় দুপুরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ২০১৭ সালের নোবেলবিজয়ী এ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন।

শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থানের জন্য বিয়াট্রিস ফিন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে এসেছিলেন। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়াকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে চায় সেই ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে।

সাক্ষাৎকালে বিয়াট্রিস ফিন পরমাণু অস্ত্রবিরোধী অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, আশা করি বাংলাদেশ এ ব্যাপারে দক্ষিণ এশিয়ায় একটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত ও পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ হচ্ছে। যখন ভারত পারমাণবিক অস্ত্র বিস্ফোরণ করলো, তার পর পরই পাকিস্তান করলো। তখন শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে শেখ হাসিনা কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। শেখ হাসিনা ভারতে গেছেন, পাকিস্তানে গেছেন। তাদের কনভিন্স করার চেষ্টা করেছেন, তাদের বলেছেন, তোমরা যে পয়সা এখানে খরচ করো তা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে খরচ করো। শেখ হাসিনার এ তৎপরতার প্রশংসা করেন বিয়াট্রিস ফিন।

বিয়াট্রিস ফিন আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রথমসারির দেশ যারা পরামাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে।

জাতিসংঘের পরবর্তী সাধারণ অধিবেশনে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ওপর সাইডলাইন ইভেন্ট করার চিন্তা করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস-আইসিএএন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও অংশগ্রহণ চাচ্ছেন আইসিএএনের নির্বাহী পরিচালক।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমইউএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।