ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইতিহাসের এই দিনে

শহীদুল্লা কায়সারের জন্ম-ওসমানীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
শহীদুল্লা কায়সারের জন্ম-ওসমানীর প্রয়াণ শহীদুল্লা কায়সার ও ওসমানী। ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শনিবার। ০৪ ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৮৬২- আমেরিকান গৃহযুদ্ধে জেনারেল উলিসেস এস গ্রান্ট টেনেসির ফোর্ট‌ ডনেলসন দখল করেন।
১৯১৮- লিথুনিয়া স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষিত হয়।
১৯২৩- হাওয়ার্ড কার্টার মিশরের ফারাও সম্রাট তুতানখামেনের সমাধি উন্মুক্ত করেন।
১৯৬১- এক্সপ্লোরার-৯ উৎক্ষেপণ করা হয়।

জন্ম
১৮১২- মার্কিন রাজনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের ১৮তম উপ-রাষ্ট্রপতি হেনরি উইলসন।
১৮৩১- রুশ লেখক ও সাংবাদিক নিকোলাই লেসকভ।
১৮৩৮- মার্কিন ইতিহাসবিদ, সাংবাদিক ও ঔপন্যাসিক হেনরি অ্যাডাম্‌স।
১৮৬৮- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার আলবার্ট রোজ-ইন্স।
১৯২৬- বাঙালি লেখক ও বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার।

ফেনী জেলার মাজুপুর গ্রামে তার জন্ম। তিনি সমসাময়িক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বামরাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে তিনি একাধিকবার কারাবরণ করেন। পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। দেশপ্রেমিক ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক পরিক্রমা’ ও বিশ্বকর্মা ছদ্মনামে ‘বিচিত্রা কথা’ শীর্ষক উপ-সম্পাদকীয় রচনা করতেন তিনি। ‘সাপ্তাহিক ইত্তেফাক’ পত্রিকা থেকে সাংবাদিক জীবনের হাতেখড়ি হলেও তার সাংবাদিক জীবনের সব কৃতিত্ব ও পরিচিতি ‘দৈনিক সংবাদ’-কে ঘিরে। ‘সংশপ্তক’ তার বিখ্যাত উপন্যাস। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও স্থানীয় সহযোগী আল-বদরের হাতে অপহৃত হন। ধারণা করা হয়, অপহরণকারীদের হাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪৮- কণ্ঠশিল্পী নীলুফার ইয়াসমীন।
১৯৫৪- জ্যামাইকান ক্রিকেটার মাইকেল হোল্ডিং।
১৯৫৯- মার্কিন টেনিস খেলোয়াড় জন ম্যাকেনরো।
১৯৮৮- ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ডেনিলসন পেরেইরা নেভেস।
১৯৩৫- মার্কিন প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের জনক ব্রেডফোর্ড‌ পার্কি‌ন্সন।

১৯৩৬- বাংলাদেশি সাহিত্যিক রাজিয়া খান।

লেখালেখি ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন মঞ্চে অভিনয় করেছেন। ১৫ বছর বয়সেই তিনি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। ১৮ বছর বয়সে তার লেখা ‘বটতলার উপন্যাস’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তার লেখায় জটিলায়তন নগরজীবন, অন্তর্গত ব্যক্তিদের নৈঃসঙ্গ ও বিচ্ছিন্নতা প্রকাশ পেয়েছে। তার মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস ‘দ্রৌপদী’ বেশ সমাদৃত।

১৯৫৩- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অলিভিয়া।  

মৃত্যু
১২৭৯- পর্তুগালের রাজা দ্বিতীয় অলফেন্সো।
১৩৯১- বাইজেন্টাইন সম্রাট পঞ্চম জন পেলাইওলোগস।
১৭৫৪- ব্রিটিশ চিকিৎসক রিচার্ড‌ মিড।
১৮৯৯- ফরাসি ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ, ফ্রান্সের ৭ম রাষ্ট্রপতি ফেলিক্স ফাওরি।
১৯০৭- নোবেলজয়ী ইতালিয়ান কবি জিওসুয়ে কার্দুচ্চি।
১৯৩২- ফরাসি একাডেমিক ও রাজনীতিবিদ, শান্তিতে নোবেলজয়ী ফার্ডিনেন্ড বুইসন।
১৯৩৬- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার টমি ওয়ার্ড।
১৯৫৬- বাঙালি পদার্থবিদ মেঘনাদ সাহা।

১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার কাছে শ্যাওড়াতলী নামক গ্রামে তার জন্ম। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের থার্মাল আয়নাইজেসন তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বিখ্যাত। তার আবিষ্কৃত সাহা আয়োনাইজেসন সমীকরণ নক্ষত্রের রাসায়নিক ও ভৌত ধর্মাবলী ব্যাখ্যায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়া তিনি পরমাণু বিজ্ঞান, আয়ন মণ্ডল, পঞ্জিকা সংস্কার, বন্যা প্রতিরোধ ও নদী পরিকল্পনা বিষয়ে গবেষণা করেন।

১৯৮৪- বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউল গণি (এমএজি) ওসমানী।

১৯১৮ সালের ১ নভেম্বর সুনামগঞ্জে তার জন্ম। ১৯৪২ সালে ওসমানী মেজর পদে উন্নীত হয়ে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি বার্মা রণাঙ্গনে ব্রিটিশ বাহিনীর অধিনায়করূপে যুদ্ধ করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি কোয়েটা স্টাফ কলেজ থেকে পিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি কর্নেল পদে উন্নীত হন। এরপর তিনি আর্মি হেডকোয়ার্টারে জেনারেল স্টাফ ও মিলিটারি অপারেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর নিযুক্ত হন। ১৯৬৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

ওসমানী ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে ওসমানী বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর জেনারেল পদে উন্নীত হন 

আজীবন অকৃতদার ওসমানী ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৮৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad