ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়ক নদীগর্ভে বিলীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়ক নদীগর্ভে বিলীন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মহাসড়েকের প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা ভেঙে নদীতে বিলীন

বাগেরহাট: বাগেরহাটের চিতলমারীর মধুমতি নদী ভাঙনে ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়েকের প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা ভেঙে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার শৈলদহ বাজার সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১০০ ফুট রাস্তা নদীতে ভেঙে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা রোকা মিয়া, রহমান শেখ, শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০দিন ধরে মধুমতি নদীর তীব্র স্রোতে অব্যাহত ভাঙনে দোকানপাট, বসতবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।

ঝুঁকিতে থাকা মহাসড়কের একটি অংশ বুধাবার সকালে নদীতে ভেঙে যায়। ফলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছে জনসাধারণ। আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ারও জায়গা নেই। অনেক বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে আজ পথে বসেছে। এদের দেখার কেউ নাই। আমরা যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই।

কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ বাজার ও পরাণপুর গ্রামে মধুমতি নদীর ভাঙন দেখা দেয়। এ বছর ভাঙনে শৈলদাহ বাজার, খেয়াঘাটসহ তার আশপাশের বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। এছাড়া ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে কেউ কেউ বাড়ি ঘর সরিয়ে নিচ্ছেন।  

চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান শামীম বাংলানিউজকে জানান, ভাঙনের ফলে এলাকার মানুষের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, মহাসড়কটির একটি স্থান নদীতে ভেঙে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা সকলকে সতর্ক থাকার জন্য সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব নদীভাঙন রোধে কাজ করা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে জেলায় ২৩টি স্থানে নদী ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২টি এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। চিতলমারী শৈলদাহ বাজার এলাকার নদী ভাঙনের এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে বালুর বস্তা ও বাঁশখুটি দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছি। আমাদের চেষ্টায় কোনো ত্রুটি নাই। এছাড়া প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই ভাঙন রোধে টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।