ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কারাদণ্ডের বিধান রেখে কৃষি বিপণন বিল পাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
কারাদণ্ডের বিধান রেখে কৃষি বিপণন বিল পাস

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: লাইসেন্স ছাড়া কৃষিপণ্যের বাজার কারবারি, আমদানি-রপ্তানি, গুদাম ও হিমাগার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়ে এক বছরের কারদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রেখে কৃষি বিপণন বিল পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিরোধী দলের একাধিক সদস্যের বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।


 
কৃষিপণ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন রাসায়নিক ব্যবহার করলে, ওজনে কম দিলে, কৃষিপণ্যে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে, অধিক মুনাফা করলে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গুদাম বা হিমাগারে মজুতকৃত কৃষিপণ্য সরবরাহ না করলেও একই দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।  

বিলে কৃষিপণ্যের ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্ততাকারী, পাইকারি বিক্রেতা, আড়তদার, মজুতদার, কমিশন এজেন্ট বা ব্রোকার, ওজনদার, নমুনা সংগ্রহকারী, ফরিয়া বা বেপারিকে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য বাজার কারবারি হিসেবে লাইসন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিলে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা স্থাপিত কৃষি বাজারের জন্য মার্কেট চার্জ নির্ধারণ, গুদাম ও হিমাগারে কৃষিপণ্যের মজুতের ভাড়ার হার নির্ধারণ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
 
এছাড়া সরকার কর্তৃক কৃষিপণ্যের এলাকাভিত্তিক মূল্য ও লাভের হার নির্ধারণ করে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য ও ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হবে। আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকারের একটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থাকবে। এই অধিদপ্তর কৃষিপণ্যে মূল্যনীতি প্রণয়ন, কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ম মূল্য নির্ধারণ, কৃষিপণ্যের মান নির্ধারণ, বাজার কারবারি, কৃষি ব্যবসায়ীদের সংগঠন-সমিতিকে তালিকাভুক্তিকরণ ও কৃষিপণ্যে মূল্য সহায়তা প্রদান করবে।
 
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনার সম্প্রসারণ, কৃষি ব্যবসার উন্নয়ন, কৃষি বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বিলটি প্রণীত হয়েছে। একইসঙ্গে কৃষিজ অর্থনীতি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে দি ওয়্যার হাউজ অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ এবং দি অ্যাগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৬৪ আইন দু’টি রহিত করে বাংলা ভাষায় কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে বিলে দি অ্যাগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেট রেগুলেশন (এমেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ১৯৮৫-এর উল্লেখ থাকলেও আইনে বিলটি বাতিল বা নতুন আইনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।