ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আশুরায় হুমকি নেই, প্রস্তুত থাকবে সোয়াট-বোম্ব ডিসপোজাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
আশুরায় হুমকি নেই, প্রস্তুত থাকবে সোয়াট-বোম্ব ডিসপোজাল হোসনী দালান ইমামবাড়া এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা: আশুরা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে অতীত অভিজ্ঞতা, বাস্তব পরিস্থিতি ও গোয়েন্দা রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে সুবিন্যস্ত ও সমন্বিতভাবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া যেকোন জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন টিম প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হোসনী দালান ইমামবাড়া এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৭ মহরম থেকে ১০ মহরম পর্যন্ত রাজধানীর হোসনী দালানসহ বিভিন্ন ঈমামবাড়ায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান হবে। সেসব অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোসনী দালানের চারপাশে পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

চারপাশের এলাকা কর্ডন করে রাখা হবে, একটু দূরে আরেকটি কর্ডন বেস্টনি থাকবে। অনুষ্ঠানের আগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ সদস্যদের (এসবি) সুইপিং টিম ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যেকটা এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।

অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হলে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে তল্লাশি করা হবে। যেকোন জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ইউনিট প্রস্তুত থাকবে।

তাজিয়া মিছিল যে পথে যাবে সেসব সড়কে রুফটপে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। রাতে যেসব স্থানে মিছিল হবে সেখানেও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। শোক মিছিলের জন্য বিভিন্ন সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

তিনি বলেন, মিছিলের মধ্যে যেন কোনো গ্যাপ না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকবে পুলিশ। মিছিল শুরু হওয়ার পর পথিমধ্যে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মিছিলে অংশ নিতে হলে সবাইকে শুরুতে এসে তল্লাশি শেষে অংশ নিতে হবে।

মিছিলে কোনো ধরনের ব্যাগ, টিফিন ক্যারিয়ার, ছুরি-কাঁচি ও বরশা বহন করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে আতশবাজি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আতশবাজি, ঢাক-ঢোল, আগুন খেলাসহ যেসব কার্যক্রম নিরাপত্তার হুমকি হয় সেসব কিছুকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। মিছিলে ১২ ফুটের বড় নিশানা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, নিরাপত্তায় এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরেও আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। সব পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আমরা সতর্ক রয়েছি।

ডিএমপিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সংস্থার সমন্বয়ে একটি সফল অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমপি কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
পিএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।