ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একাত্তরের ১৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণপুরে হত্যা করা হয় ১২৭ জনকে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
একাত্তরের ১৮ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণপুরে হত্যা করা হয় ১২৭ জনকে কৃষ্ণপুর বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। ছবি-বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: ১৮ সেপ্টেম্বর। হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিন ভোরে লাখাই উপজেলার হাওর বেষ্টিত কৃষ্ণপুর গ্রামে ১২৭ জনকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। 

তাদের নির্যাতনে পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনও বেঁচে আছেন আরও অন্তত ২০ জন। কৃষ্ণপুরের পার্শ্ববর্তী চন্ডিপুর গ্রাম।

১৬টি বাড়ি ছিল সেখানে। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী সবক’টি বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এখন সেখানে শুধু একটি পুকুর রয়েছে।  

যুদ্ধাহত এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও অষ্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষদের ধরে কৃষ্ণপুর গ্রামে এনে ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে হত্যা করে হানাদার বাহিনী। মানুষের চোখ বেঁধে প্রথমে মারধর করা হয় সেদিন। এরপর ব্রাশফায়ার করে হত্যার পর মরদেহগুলোর গলায় কলস বা ইট বেঁধে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।  

লাখাইয়ের কৃষ্ণপুর গ্রামে গেলে দেখা যায়, বয়স্ক কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কারও বা মেরুদণ্ড ভাঙা।  

কৃষ্ণপুর গ্রামের গণহত্যার জন্য দায়ী করা হয় মুড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুন্যালে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে গোপনে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন লিয়াকত আলী।

এদিকে, কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। লাখাই উপজেলা প্রশসানও সেখানকার বধ্যভূমিতে নির্মিত স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।