ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়/ ফাইল ছবি

ঢাকা: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মাসহ যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় চার জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছেন বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা।

সোমবার (১৭ সেপ্টম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সকাল ৯টার তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে এবং জামালপুর, বগুড়া ও গাইবান্ধা জেলার বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মার পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

আর গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস কেন্দ্র।

সকাল ৯টার তথ্যানুযায়ী, যমুনা নদীর পানি ফুলছারি পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেন্টি মিটার., সারিয়াকান্দিতে ১৪ সেন্টি মিটার, বাহাদুরাবাদে ৬ সেন্টি মিটার, আত্রাই নদীর পানি বাঘাবাড়ীতে ৪ সেন্টি মিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাশিন পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিগত ২৪ ঘণ্টায় ফুলছারিতে ৫ সেন্টি মিটার, বাহাদুরাবাদে ৭ সেন্টি মিটার, বাঘাবাড়ীতে ১০ সেন্টি মিটার এবং এলাশিন পয়েন্টে বেড়েছে ৯ সেন্টি মিটার।

 সকাল ৯টা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণাধীন ৯৪টি স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১টির, হ্রাস পেয়ছে ৪৭টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি পয়েন্টে।

 বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আরও দুই’ একদিন সবগুলো পয়েন্টে পানি বাড়বে। এই সময়ে স্বল্প মেয়াদী বন্যা হবে। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে পানি কমা শুরু করবে। তখন বন্যা পরিস্থির উন্নতি হবে।  

আবহাওয়া অধিদফতর এবং বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাত হয়নি। আর ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নেই।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশে কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

 পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থা তিন দিন সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এমআইএইচ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।