ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: টাঙ্গাইলে আরও এক মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারি: টাঙ্গাইলে আরও এক মামলা

ঢাকা: দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডে মানিলন্ডারিংয়ের ঘটনায় আরও একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে টাঙ্গাইলে হওয়া একটি মামলার দুই নম্বর আসামি ফেরদৌস জুবায়েত ইসলাম ভূঁইয়া (৫১) ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দুদক।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্বে দেন অভিযোগের অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তা কাজী শফিকুল আলম।

ফেরদৌস জুবায়েত ইসলাম ভূঁইয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এসটুআরএস করপোরেশনের (৩২৯/১/এ, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, (২য় তলা), ঢাকা) মালিক। তিনি মাতুয়াইল মধ্য এলাকার (ভূঁইয়া হাউজ,  মাতুয়াইল,যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১৩৬২) মাজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে।

জানা গেছে, এই মামলার ১নং আসামি রাশেদুল হক চিশতী অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। তিনি ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) ছেলে। ফারমার্স ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তার (বাবুল চিশতীর) বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজলী শবনব (৩৫), (সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার দি ফারমার্স ব্যাংক লিঃ, বকশীগঞ্জ শাখা, জামালপুর; পিতা: জিএম সরোয়ার জাহান, স্বামী: গোলাম রসুল সেতু; বর্তমান ঠিকানা: বাড়ী নং ৪১৯, রোড নং ৩০, মহাখালী ডিওএইচএস, ঢাকা; স্থায়ী ঠিকানা: গ্রাম: যাদুরচর, টেঙরামারী, বকশীগঞ্জ, জামালপুর ) ও  ব্যাংকের বগুড়া শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার সোহেল রানা (সাবেক ব্যবস্থাপক, দি ফারমার্স ব্যাংক লি., টাঙ্গাইল শাখা; পিতা: মো. আ. কাদের, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম: কুইচতারা, ডাকঘর: বিশ্বাস বাথুলি, থানা: দেলদুয়ার, জেলা টাঙ্গাইল; বর্তমান ঠিকানা: বাড়ি নং ৭০, রোড নং ১১, সেক্টর-১০,উত্তরা, ঢাকা)।

দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, দি ফারমার্স ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার কথিত গ্রাহক আরসিএল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ নামের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ৯ কোটি ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার  (দি ফারমার্স ব্যাংক, বকশীগঞ্জ শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা, মিরপুর শাখার মাধ্যমে ৫৪ লাখ টাকা এবং টাঙ্গাইল শাখায় নগদে ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ২ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর  ২ কোটি ১০ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা) কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।  

পরবর্তীতে আসামিরা এই অপরাধলব্ধ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার মোতাবেক এসটিআর (সাসপিসিয়াস ট্রাঞ্জিট রিপোর্ট ) না করাসহ ব্যাংকিং বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকে জমা করেন এবং তৎপরবর্তীতে বর্ণিত অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করতে জ্ঞাতসারে স্থানান্তর, হস্তান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ এর ৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

দুদকের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ বিষয়ে বাংলানিউজকে জানান, এই ঘটনায় টাঙ্গাইল মডেল থানায় রোববার  মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ধারায়  মামলা (নম্বর ১১) করেছে দুদক।  

মামলার বাদী হয়েছেন অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও  দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক (মানিলন্ডারিং) মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।