ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আ’লীগের জনপ্রিয়তা সবার চেয়ে বেশি: প্রধানমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আ’লীগের জনপ্রিয়তা সবার চেয়ে বেশি: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা সবার থেকে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি-২০১৮'র প্রথম সভায় এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ হাসিনা একথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমি মনে করি, এখানে জনসমর্থন কিন্তু আমাদের দিকেই রয়েছে। মানুষের মাঝে একটা আস্থা-বিশ্বাস আছে, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা শান্তিতে থাকবে, তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে, তারা ভালো থাকবে- এই বিশ্বাসটাকে গ্রামের তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন আইআরআই- এর গবেষণায় বেরিয়েছে যে আওয়ামী লীগকে জনগণ ভোট দেবে, আওয়ামী লীগকেই জনগণ চায় এবং আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা সব থেকে ওপরে, সবচেয়ে বেশি।  

তিনি বলেন, আমরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি দেশের মানুষের জন্য দেশের উন্নয়নের জন্য। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নতি হয় জনগণের উন্নতি হয় এটা আমরা প্রমাণ করেছি।

নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদিও প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর আমরা এটা করি। কার কী অবস্থা এটা জানার জন্য।

যতই রিপোর্ট আসছে সংসদ সদস্যদের অবস্থা উন্নতি হয়েছে, অবনতির রিপোর্ট দু'চারটার বেশি আমরা পাইনি। পর পর ক্ষমতায় থেকে জনপ্রিয়তা ধরে রাখা এটা সচরাচর হয় না। আমরা সেটা করতে পেরেছি। বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনেও জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।

একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও  ড. কামাল  হোসেনের নেতৃত্বে নতুন ফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন দুটি ফ্রন্ট হয়েছে এটা খুব ভালো।  

শেখ হাসিনা বলেন, উত্তরায় ৬০/৭০ জন নিয়ে বিশাল মিছিল করলেন। আগামীতে মিটিং করতে চেয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মিথ্যা মিথ্যা বলেছিল আমরা নাকি পারমিশন দেয়নি। তারা এখন মহানগর নাট্যমঞ্চে করবে। মহানগর নাট্যমঞ্চে করবে কেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে চায় আমরা করতে দেব। উদ্যানেই করুন। আমার কোনো আপত্তি নেই। তাদের অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ করব। প্রয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ করে দেব, যার যত বক্তব্য সেখানে দিতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা কারো গলা চেপে ধরিনি, কারো মুখ বন্ধ করিনি। কিন্তু যারা মিথ্যাচার করবে, উস্কানিমূলক কাজ করবে, সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে; যেমন আমরা শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি।

বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়ের বিভিন্ন গুজবের কথা তুলে ধরেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় মিথ্যা সংবাদ প্রচারের জন্য আলজাজিরা ক্ষমা চেয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে না? তাদের কি শাস্তি দেয়া যাবে না?

জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে বিএনপি মহাসচিবের সাক্ষাতের গুজব ছড়ানোর অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিথ্যাচারের কোনো সীমা নেই। নিউজ হয়ে গেল জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সাক্ষাত হয়েছে। যার সাথে সাক্ষাত হয়েছে তার কথা বললেই হয়। বলা হল তাদেরকে নাকি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, কিন্তু আসলে তারা দেখা করতে গিয়েছে। মিথ্যা বলার দরকার কী।  

তিনি বলেন, ইলেকশন সেভাবে হচ্ছে মানুষ ভোট দিতে পারছে। মানুষ তো ভোট দিয়ে খুশি। যারা জানে যে কোনো দিনই ভোটে জিতবে না তারাও খুশি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কোনোদিন ভোটে জিতবে না তারা ভাবে কোথাও থেকে কখন কেউ এসে তাদের গদিতে বসিয়ে দেবে। উত্তর দিকে মুখ করে থাকলে কি হবে? ওরকম এখন আর কারো মানসিকতা নেই, ওখানে সাড়া দেওয়ার মত কেউ নাই। ইন জেনারেলই কেউ এসে ওনাদের ক্ষমতায় বসে দেবে- সেই মানসিকতা কারো নেই। কারণ উন্নয়ন আমরা সকলের জন্য করেছি, সবাই এটা উপলব্ধি করতে পারে।

বাংলাদেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে চুরি করেছে দুর্নীতি করেছে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ থেকে শুরু করে যত রকমের অপকর্ম- মানুষ খুন, মানুষ পোড়ানো, দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে; জনগণকে আমি বলব এদের বিরুদ্ধে সবসময় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সজাগ থাকতে হবে।  

উত্তরমুখী হয়ে লাভ নেই, কেউ গদিতে বসিয়ে দেবে না

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এসকে/এমইউএম/এমআইএইচ/এসআইএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।