ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় যৌতুকের জন্য সুমা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে হাত পা-বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন সুমা।

সুমা উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মনির খলিফার মেয়ে।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে তিনি এ কথা জানান।

লিখিত অভিযোগে সুমা জানান, চার বছর আগে একই উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেংগুটিয়া গ্রামের মৃত আ. আজিজ ঘরামীর ছেলে মো. মিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় কনের পরিবারের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন উপঢৌকন দেওয়া হয়।

বিয়ের কিছুদিন পরেই মিরাজুল ঢাকায় তার ব্যবসা সম্প্রসারণ ও যাতায়াতের জন্য একটি মোটরসাইকেল কিনতে ২ লাখ টাকা দাবি করলে সুমা তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরে সুকৌশলী মিরাজুল সুমাকে বসবাসের জন্য ঢাকায় নিয়ে আসবাবপত্র কেনার জন্য টাকা চেয়ে সুমার ওপর চাপ সৃষ্টি করে।  

ঢাকায় নিয়ে মিরাজুল সুমীকে গার্মেন্টসে চাকরি করার জন্য বাধ্য করেন। অন্যথায় সুমার সঙ্গে তিনি সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেন। সংসার টিকিয়ে রাখতে স্বামীর ইচ্ছায় সুমা গার্মেন্টেসে চাকরি নিয়ে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা স্বামী মিরাজুলের হাতে তুলে দিতেন। প্রায় এক বছর চাকরির পর সুমা অন্তঃস্বত্তা হলে শারীরিক কারণে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সুমা চাকরি ছাড়ায় মিরাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেদম মারধর করেন।

এরপর একটি শালিস বৈঠক হলেও কিছুদিন পরে আগের দাবি করা ২ লাখ টাকা না দিলে সুমাকে তালাক দিয়ে মিরাজুল তার প্রেমিকা খাদিজাকে বিয়ে করার কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু সুমা টাকা জোগার করতে অপারগতার কথা জানালে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ওড়না দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে তাকে মারধর করেন মিরাজুল।

সুমার ডাকচিৎকারে বাড়ির মালিক ও অন্য ভাড়াটিয়ারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে সুমার বাবা-মা তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করিয়ে বাবার বাড়িতে এনে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সুমা তার ওপর অন্যায়-অবিচারের জন্য আইন সহায়তা কেন্দ্র ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।