ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এক বছরেও মাজারে দুই নারী হত্যাকাণ্ডের সূত্র পায়নি পুলিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এক বছরেও মাজারে দুই নারী হত্যাকাণ্ডের সূত্র পায়নি পুলিশ বারেক ল্যাংটার মাজার

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালির ভিটিশিল মন্দির এলাকার বারেক ল্যাংটার মাজারে আমেনা বেগম (৬০) ও তাইজুন খাতুন (৪৮) নামে দুই নারীকে হত্যার এক বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সূত্র বের করতে পারেনি পুলিশ।

কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে ও এই হত্যার কারণ কি ছিল তা উদঘাটনে ব্যর্থ পুলিশ কর্মকর্তারা।
 
২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাতের কোন এক সময় মাজারের ভেতর গলাকেটে হত্যা করা হয় দুই নারীকে।

জেলা পুলিশ দুই নারী হত্যার কোন সূত্র বের করতে না পারায় মামলাটি চলতি বছরের ২৯ মার্চ সিআইডি’র কাছে হস্তান্তর করে। হত্যাকাণ্ডের দুই দিনপর নিহত তাইজুন খাতুনের ছেলে কফিলউদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তারা চারজনই হাইকোর্টে জামিন নিয়ে কারাগারের বাইরে আছেন।  

সিআইড’র (ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট) ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় মাদকের সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও হত্যার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। এ কারণে মামলাটির অগ্রগতি নেই।

এই মামলায় মাসুদ কোতোয়াল (৫৫), তার ছেলে আরিফ (২৬), বৈখর এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী শান্তির ছেলে বাবু সরকার (২৩), রাজনকে (২০) পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে বর্তমানে তারা হাইকোর্টের মাধ্যমে জামিনে বেরিয়ে যায়। আদালতের অনুমতি স্বাপেক্ষে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্ত তদন্ত করেও কোন সূত্র মিলছেনা।
 
পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমেনা বেগমের স্বামী খালেক মিজী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি মাজারে আসেন। তিনি গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামে থাকতেন। অপরদিকে, তাইজুন বেগম সদর উপজেলার বকচর গ্রামের বাসিন্দা। তবে তিনি দুই ছেলের সঙ্গে ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় থাকতেন এবং প্রায়ই মাজারে আসতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাজারের খাদেম মো. মাসুদ অনেক বছর আগে ভিটিশিলমন্দির তার নিজ বাড়িতে প্রথমে এই মাজার স্থাপন করেন। কিন্তু স্থানীয়দের বিরোধীতায় ১৫/১৬ বছর আগে তিনি মাজার সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। পরে পৈত্রিক বাড়ি থেকে কিছু দূরে কাটাখালির কাছাকাছি নিজের কেনা সম্পত্তিতে মাসুদ মাজার স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এখানে নিয়মিত ওরশ কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। খাদেম নিজে কোনো মাদক গ্রহণ না করলেও প্রতি সপ্তাহে এখানে ওরশ বসত। তখন ভক্তরা মাদক সেবন করতো। এছাড়া গান-বাজনা হতো। মাজারকে কেন্দ্র করে মাদক সেবীদের আনাগোনাও ছিল। মাজারের জায়গা নিয়েও বিরোধ ছিল। এসব কারণ ছাড়াও আরো কারণ থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪৩, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।