ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘নারীদের জন্য বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
‘নারীদের জন্য বৈষম্যহীন দেশ গড়ার আহ্বান’ ‘ওয়াও ঢাকা: সিলেট চ্যাপ্টার’ আন্তর্জাতিক উৎসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেন-ছবি:আবু বকর

সিলেট: নারীদের জন্য বৈষম্যহীন দেশ গড়ে তুলতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেন।

তিনি বলেন, যে সমস্ত সফল নারীরা আজকের অনুষ্ঠানে তাদের অর্জন, সফলতার কাহিনী তুলে ধরেছেন, তা পরবর্তী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ‘ওয়াও ঢাকা: সিলেট চ্যাপ্টার’ আন্তর্জাতিক উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ইরানি বংশোদ্ভুত কানবার হোসেন নিজের জীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাত্র ৭ বছর বছর বয়সে তার মায়ের সঙ্গে রিফিউজি হিসেবে ব্রিটেনে আশ্রয় নেন। তাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ছিল মায়ের সংগ্রাম।

নারীদের জন্য কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেটার বাংলাদেশ, বেটার ওয়ার্ল্ড ফর উউমেন্স’। বক্তব্যের শেষাংশে ”নারী” কবিতার পংক্তি ‘এ পৃথিবীতে যা কিছু মহান সৃষ্টিচির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’ দিয়ে বক্তব্যের ইতি টানেন।

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, সাউথ ব্যাংক সেন্টার ও জাগো ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্বে আন্তর্জাতিক উৎসব ওয়াও ঢাকা: সিলেট চ্যাপ্টার’ আন্তর্জাতিক উৎসবে সিলেট বিভাগের নারীরা নিজেদের জীবন যুদ্ধে সফলতার গল্প তুলে ধরেন। এই উৎসব নারী ও তরুণ-তরুণী সহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিলো।

উৎসবে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন-ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যান্ড্রিউ নিউটন ও জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ।

এদিন বিকেল ৩টায় একটি প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে উৎসবের সূচনা হয়। এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন সিলেট উইমেন চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট স্বর্ণলতা রায় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীন। তারা আলোচনায় সিলেটে নারীদের অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন।

প্যানেল আলোচনার পরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করে সান্ত্বনা মনিপুরি নৃত্য দল। এরপর, ওয়াও বাইটস সেশন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ছয়জন নারী তাদের গল্প, অর্জন, শিক্ষা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা আলোচনা করেন। এরপর সিলেটের দল নাট্যমঞ্চ মঞ্চনাটক পরিবেশন করে এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষ হয় সিলেটের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল শিকড়ের সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।

বাংলাদেশের যেসব নারী প্রতিদিনকার জীবনে রাজনীতি, শিক্ষা ও সৃষ্টিশীল ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে নিজেদের উত্তরণ ঘটাচ্ছে; সে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির প্রতি নিজেদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আয়োজিত উৎসবে কমিউনিটি লিডার, অ্যাক্টিভিস্ট, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নগরের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চ্যালেঞ্জ, প্রথা ও গতানুগতিকতা নিয়ে উৎসবে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ নারীদের ভোটাধিকার পাওয়ার শততম বর্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ অনুষ্ঠান মঞ্চের পাশেই স্থাপিত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এনইউ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।