ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উন্নয়ন অংশীদার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উন্নয়ন অংশীদার

ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উন্নয়ন অংশীদার। বিগত কয়েক বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র অভূতপূর্বভাবে বিস্তৃত হয়েছে।

বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতের তিনটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন  চৌধুরী, পাট ও বস্ত্র  প্রতিমন্ত্রী  মির্জা আজম এমপি, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট রুদ্র চ্যাটার্জি প্রমুখ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তৈরি পোশাক শিল্প দারুণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসে এ শিল্প থেকে। যা অর্থমূল্যে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৬১ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের জিডিপিতেও ১৫ শতাংশ অবদান রাখছে এ খাত।  
 
২০১১ সালে শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা পাওয়ায় ভারতের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রফতানি বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। ভারত এখন বাংলাদেশের পোশাক রফতানির অন্যতম উদীয়মান বাজার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামালের অন্যতম বড় যোগানদাতা দেশও ভারত। এদেশের তুলা ও সুতার মোট চাহিদার চারভাগের প্রায় এক ভাগ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় তুলা, সুতা ও ফ্যাব্রিকের রফতানির ২৫ শতাংশ আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের পোশাক যন্ত্রপাতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসও ভারতের বস্ত্র প্রকৌশল শিল্প।

ভারতকে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে হাইকমিশনার শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গত ২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারত সফরের সময় ভারতীয় তৃতীয় ক্রেডিট লাইন ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় ক্রেডিট লাইন মোট ৮ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। এটা যে কোনো দেশের চেয়ে সবচেয়ে বৃহত্তর ভারতীয় ক্রেডিট লাইন।  

বিগত কয়েক বছর ধরেই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র অভূতপূর্বভাবে বিস্তৃত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনের কথাও তুলে ধরেন শ্রিংলা।

উদ্বোধন হওয়া ১৯তম টেক্সটেক বাংলাদেশ-২০১৮, ১৪তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফ্যাব্রিক শো-২০১৮ ও ৩৩তম ডাই বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮ নামের প্রদর্শনী তিনটি চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বের ১২, ২০১৮
টিআর/এএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।