ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পদ্মার পানি ঢুকছে রাজশাহীর নিম্নাঞ্চলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
পদ্মার পানি ঢুকছে রাজশাহীর নিম্নাঞ্চলে রাজশাহীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হু হু করে পানি বেড়েই চলেছে রাজশাহীর পদ্মায়। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে পানির উচ্চতা মাপা হয়েছে ১৭ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার।

আর রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা হচ্ছে ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। ফলে বিপদসীমার একেবারে কাছেই চলে এসে পদ্মা! এরই মধ্যে মহানগরীর পদ্মা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।

মঙ্গলবার মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খরবোনা পদ্মাপাড় এলাকার প্রায় ৩০টি বসতবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, পদ্মার পানি প্রতিদিনই তিন থেকে চার সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। তবে মঙ্গলবার বেড়েছে দু’সেন্টিমিটার। অর্থাৎ পানি বাড়ার প্রবণতা কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা কম। এটা অবশ্যই ভালো লক্ষণ। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামীকাল আবারও বাড়তে পারে। তাই গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে নদীর ক্রমবর্ধমান ঢল ও স্রোতের ওপর। রাজশাহীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত।  ছবি: বাংলানিউজরাজশাহী পাউবোর গেজ রিডার এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহীর বড়কুঠি পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা পাওয়া যায় ১৭ দশমিক ৪ সেন্টিমিটার। রোববার ছিল ১৭ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় একই পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা মাপা হয়েছিল ১৭ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার। ফলে পদ্মার পানি যে হু হু করে বাড়ছে তা এই পরিসংখ্যানই বলছে।

এনামুল হক বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে পদ্মার পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার। ফলে আজ বিপদ সীমার মাত্র ১ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মা। এভাবে বাড়তে থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এখনই পদ্মার বুকের জেগে ওঠা বেশিরভাগ চর তলিয়ে গেছে। এসব চরে মানুষের বসতি না থাকলে গবাদি পশু পালন হতো। পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে যেসব চরে বসতি রয়েছে সেগুলোতে পানি ঢুকবে।

এদিকে মহানগরীর খরবোনা এলাকার রহিদুল ইসলাম জানান, গত ১০ থেকে ১২ দিন আগ থেকে পদ্মা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে৷ তবে সোমবার রাতারাতি এই এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে পানি উঠে যায়। পর্যায়ক্রমে প্রায় ৩০টি ঘর-বাড়িতে পদ্মার পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কেউ কেউ ঘর-বাড়ি ভেঙে নিয়ে অন্য এলাকায় ভাড়া চলে গেছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য তাদের যে অবকাঠামো রয়েছে তা যেনো কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই ব্যাপারে তারা তদারকি শুরু করেছেন। পদ্মা নদীর ভাঙন থেকে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের ৫ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় ২৬৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। ওই প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর বুলনপুর থেকে আগে পবার সোনাইকান্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নদীপাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই পানি বাড়লেও এখনই আতঙ্কের কিছু নেই বলেও জানান পাউবোর এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।