ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়ায় বাড়ছে যাত্রীর চাপ, পারের অপেক্ষায় ৮শ’ গাড়ি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
শিমুলিয়ায় বাড়ছে যাত্রীর চাপ, পারের অপেক্ষায় ৮শ’ গাড়ি শিমুলিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৮শ’ গাড়ি-ছবি-বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। শেষদিন প্রিয় মানু্ষদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। 

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৬টার দিকে নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে এবং পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৮ শতাধিক গাড়ি। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে।

 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডাব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ১ হাজার ৪৫০টির বেশি গাড়ি বিকাল ৫টা পর্যন্ত পার হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি।

শিমুলিয়ায় বিকাল ৫টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারিত পার্কিং ইয়ার্ড ছাড়িয়ে গাড়ি অবস্থান করছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত এবং নাব্যতা সংকটের কারণে গেল কয়েকদিন ধরেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়ে আসছে। চ্যানেলের মুখে নৌযানগুলো স্রোতের কবলে পড়ে কুলিয়ে উঠতে পারছে না। লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত আছে। লঞ্চের ছাদে ও ভেতরে পূর্ণ করে যাত্রীদের পারাপার হতে দেখা গেছে। সীবোট ঘাটে কিছুটা চাপ কম আছে। অনেক যাত্রী ও চালক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ফেরি লোড ও আনলোড হতে বেশি সময় লাগছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন।

বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালিদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, তিনটি মিডিয়াম, ছয়টি কে-টাইপ, একটি ছোট, ছয়টি ডাম্প ফেরি চলাচল করছে। প্রচণ্ড স্রোত আর নাব্যতা সমস্যার কারণে চালকদের ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। চ্যানেলে ওয়ান ওয়ে রুটে ফেরি চলাচল করায় বেশি সময় লাগছে। ঘাট এলাকায় বিকেলের দিকে ৮শ’ গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে।

 বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, শিমুলিয়ায় লঞ্চঘাটে ঈদযাত্রার শেষদিন ঘরমুখো মানুষের চাপ অব্যাহত আছে। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন না করে সেদিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে। স্রোতের কারণে লঞ্চ চালাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।  

যাত্রীরা অভিযোগ করেন, ফেরি লোড-আনলোড হতে দীর্ঘ সময় লাগছে। এর ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একটি ফেরি লোড হয়ে যাওয়ার পর আরেকটি ফেরি আসতে বেশি সময় লাগছে। ২-৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে একই স্থানে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এছাড়া সকাল থেকে লাইনে অপেক্ষা করে বিকেলের দিকেও ফেরিঘাটের সামনে পৌঁছাতে পারা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, ২১ আগস্ট, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।