ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৭০০ গাড়ি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
শিমুলিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৭০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলো

মুন্সিগঞ্জ: প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে। 

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘটে ৭ শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

এছাড়াও ভোর থেকেই যাত্রীদের চাপ পড়তে শুরু করে ফেরি, লঞ্চ ও সিবোটে।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই মোটরসাইকেলের একটি বাড়তি চাপ পড়েছে। মোটরসাইকেলের কারণে ফেরি লোড করতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। মোটরসাইকেলের চাপে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর এর খুটি ভেঙে গেছে তাই ওয়েল্ডিং করে ঠিক করা হচ্ছে। ঘাট এলাকায় ৭ শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি আছে। নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।

বিআইডাব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালিদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, তিনটি মিডিয়াম, ছয়টি কে-টাইপ, একটি ছোট, ছয়টি ডাম্প ফেরি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে যাত্রী ও মোটরসাইকেলের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়া ওয়ান ওয়ে রুটের মাধ্যম ফেরি চলাচল করায় বেশি সময় লাগছে। নাব্যতা সমস্যা নিরসনে কাজ করছে ড্রেজিং বিভাগ।

বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, ঘরমুখো মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে। ৮৬টি লঞ্চ সকাল থেকেই যাত্রী পারাপারে ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাত্রী লোড নিয়ে ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতে কোন লঞ্চ না চলাচল করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ চলাচল রাত ৮টা পর্যন্ত থাকলেও বর্তমানে রাত ১০টা করা হয়েছে।

সিবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. ওয়াহিদ বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই সিবোটের মাধ্যমে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় সিবোট ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।

কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে সিবোটে নির্ধারিত ভাড়া ১৮০টাকা থাকলেও বর্তমানে যাত্রীদের থেকে ২০০-২৫০টাকা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া শিমুলিয়া ঘাটগামী যাত্রীবাহী গাড়িগুলো বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন যাত্রীদের থেকে। দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এছাড়া ফেরিলোড হতে বেশি সময় লাগছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।