ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ সময়ে খুলনায় পশুর দাম বেশি!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
শেষ সময়ে খুলনায় পশুর দাম বেশি! পশুরহাট। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: কোরবানির ঈদের আগের দিন খুলনায় পশুর হাটগুলোতে জমজমাট বিকিকিনি। শেষ মুহূর্ত হওয়ার কারণে হাটে দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই।

বিক্রেতারা বলছেন, আগের কয়েকদিন বেচাকেনা তেমন না হলেও কোরবানির ঈদের একদিন বাকি থাকায় ক্রেতা বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে বিক্রি।

অন্যদিকে ক্রেতারা জানান, দাম গতবারের চেয়ে বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।

শেষ সময়ে এসে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে তাদের।

মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় পশুরহাট জোড়াগেট পশুরহাটে গরু কিনতে আসা তুহিন বলেন, শেষ সময়ে এসে গরুর দাম বেড়ে গেছে। বাজেটের মধ্যে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রাজু নামে এক ক্রেতা বলেন, কপালটা ভালো। অনেক কষ্ট করে বাজেটের মধ্যে গরু পেলাম।

ক্রেতারা বলছেন, শেষ সময়ে এসে হাটে গরুর সংখ্যা কমে গেছে। যে কারণে ৬০ হাজার টাকার গরু ৮০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত জোড়াগেট পশুরহাটে বেচাকেনা শেষ সময়ে জমজমাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে হাট। হাট চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। হাটে আসা ক্রেতাদের বেশি পছন্দ মাঝারি আকারের দেশীয় জাতের গরু ও ছাগল। ক্রেতারা দেখে শুনে বাজেটের মধ্যে গরু কেনার চেষ্টা করছেন। বিক্রেতারাও বেশি দাম পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বড় গরুর চারপাশ ঘিরে প্রচুর উৎসুক মানুষের জটলা। কেউ কেউ তুলছেন সেলফি। হাটে আসা বেশিরভাগ গরু নড়াইল জেলা থেকে আসা। ফলে হাট অনেকটা নড়াইলের পশুর দখলে। ভারতীয় গরু আসা বন্ধ থাকায় এবারে দেশি খামারিরা গরুর দাম ভালো পাচ্ছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, ভারতীয় গরু না আসায় খামারিরা দাম বেশি হাঁকছেন।

খামারি ইব্রাহিম জানান, হাটে ছয়টি গরু এনেছিলেন। প্রথমদিকে দাম না ওঠলেও শেষ সময়ে ভালো দামে বিক্রি হয়েছে।

আলামিন নামে গরু বিক্রেতা বলেন, গরুর খাবারের দাম বেড়েছে। এজন্য গরুর দামও এবার বেশি।

গরু ব্যাপারী রবিউল ইসলাম জানান, তার গরুটির দাম হেঁকেছেন ছয় লাখ টাকা। ক্রেতারা সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম বলেছেন।

কেসিসির জোড়াগেট হাট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন জানান, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শেষ সময়ে এসে জমে ওঠেছে জোড়াগেট কোরবানির পশুরহাট। হাট চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত।

এদিকে, মহানগরের জোড়াগেট পশুর হাটের মতো শেষ সময়ে জমে ওঠেছে জেলার নয় উপজেলার পশুর হাটগুলো।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, শেষ সময়ে হাটগুলোতে কোরবানির পশুর দামে ক্ষণে ক্ষণে ওঠানামা করছে। এতোদিন যারা গরু বিক্রি করেননি, শেষ সময়ে এসে ভালো দাম পেয়ে খুশি তারা। প্রায় সব হাটেই ছোট গরুর চাহিদার তুলনায় বড় গরুর চাহিদা কম বলে জানিয়েছেন ব্যাপারীরা।

খুলনা জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নয় উপজেলার হাটে আসা ক্রেতা ও ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। রয়েছে জাল টাকা সনাক্তকরণ মেশিন। পশুবাহী ট্রাকের চাঁদাবাজি ও হাটকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা কঠোর হাতে দমন করছে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।