ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদ আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাবে বৃষ্টি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
ঈদ আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাবে বৃষ্টি ফাইল ফটো

ঢাকা: বর্ষাকাল শেষ। চলছে ভাদ্র মাস। তাই প্রকৃতিও একেবারে তালপাকা গরম নিয়েই হাজির হয়েছিল মাসের শুরুতে। তবে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে তাপদাহ কেটে গিয়ে এখন দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। ফলে ঝরছে বৃষ্টি। ঈদের দিনও (বুধবার) রোদের দেখা কমই মিলবে। বৃষ্টিপাত হবে সারাদেশেই।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরের লঘুচাপটি ইতিমধ্যে স্থলভাগে ওঠে এসেছে। ঈদের দিন এটি আরো হালকা হয়ে যাবে।

তবে সারাদেশেই থাকবে বৃষ্টিপাত। এক্ষেত্রে কোথাও ভারী, কোথাও হালকা ধরণের বর্ষণ হবে।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে খুলনা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বরিশাল অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হবে। অন্যান্য স্থানে হালকা বৃষ্টিপাত হবে।

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে সোমবার (২০ আগস্ট) তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেওয়া হয়েছে। এটা সাগরে বাতাসের কারণে দেওয়া হয়েছে। লঘুচাপ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) পুরোপুরি স্থলভাগে এসে বাতাস কমে যাবে। তখন সংকেত রাখার প্রয়োজন হবে না। তাই বলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমবে না।

তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন রোদের চেয়ে আকাশ মেঘলা বেশি থাকবে। সারাদেশেই কম বেশি বৃষ্টিপাত হবে। ’

আবহাওয়ার প্রকৃতি বলছে, মৌসুমী অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে।

এই অবস্থায় মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (২২ আগস্ট) অর্থাৎ ঈদের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা বৃদ্ধির লক্ষণ দেখছে আবহাওয়া অধিদফতর।

কোরবানীর ঈদে গত বছরও বৃষ্টিপাত হয়েছিল। এক্ষেত্রে ঈদের নামাজ আদায়ের পর পশু কোরবানীতে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয় দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

ভাদ্রের শুরু দিকে ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল ব্যারোমিটারের পারদ। গত ১৮ আগস্ট তাপমাত্রা গিয়ে ঠেকেছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরপর ১৯ আগস্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে দেখা দেয় বৃষ্টির ঘনঘটা। কমতে শুরু করে তাপমাত্রা।

সোমবার (২০ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। এখানে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে। এখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
ইইউডি/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।