ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে গাড়ির চাপ স্বাভাবিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে গাড়ির চাপ স্বাভাবিক শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে গাড়ির চাপ কম। ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: একদিন পরেই ঈদুল আজহা। প্রিয় মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে আগ্রহের কমতি নেই ঘরমুখো যাত্রীদের। দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরির মাধ্যমে যাত্রীদের কিছুটা চাপ লক্ষ্য করা গেছে। 

নৌরুটে বর্তমানে রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরসহ ১৭টি ফেরি চলাচল করছে এবং পারের অপেক্ষায় রয়েছে ২শ’।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালের দিকে ১,২,৩ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ১৪০৮টি গাড়ি পার হয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ৩ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ৭১১টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। সকালের দিকে মোটরসাইকেল ও যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। তবে দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি, প্রচণ্ড বাতাস আর স্রোতের কারণে কিছুটা হলেও ফেরি চালাতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।  

যাত্রীরা ভিজে ভিজে সি-বোটের মাধ্যমে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এছাড়া চ্যানেলে একটি রুটের মাধ্যমেই পারাপার হওয়ায় সময় বেশি লাগছে। অনেক যাত্রী ফেরির মাধ্যমেই গৌন্তব্যে রওনা হয়েছেন। তবে যাত্রী ও গাড়ি নিয়ে ফেরি ছেড়ে যাওয়ার পর আরেকটি ফেরির জন্য দীর্ঘ সময় যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে ১টি রো রো ফেরি, ৩টি মিডিয়াম, ৬টি কে-টাইপ, ১টি ছোট, ৬টি ডাম্প ফেরি চলাচল করছে।  

চ্যানেলে ওয়ান ওয়ে রুটের মাধ্যমে ফেরি চালাতে হচ্ছে ফলে ঘাটে পৌঁছতে বেশি সময় লাগছে। এছাড়া নাব্যতা সংকট, তীব্র স্রোত আর বাতাসের কারণে সতর্কতা অবলম্বন করে ফেরি চালাতে হচ্ছে। ঘাট এলাকায় ২ শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় আছে।

তিনি আরো জানান, ঘাটে যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি। পণ্যবাহী ট্রাকের তেমন চাপ নেই। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ২০টি ট্রাক পার হয়েছে। অন্যবারের ঈদে শিমুলিয়ায় যেমন গাড়ির চাপ থাকে এবারের ঈদে তেমন নেই। ফেরিতে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।

কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে ফেরি পার হওয়া যাচ্ছে। ফেরি লোড হলেই গাড়ির লাইন কমে আসছে। অন্যান্য ঈদের তুলনায় দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

এদিকে, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও নির্বিঘ্নে তারা কাঁঠালবাড়ী, কাওড়াকান্দি ও মাঝিকান্দি ঘাটে যাতায়াত করছেন।

ঘাটে অবস্থান করা লঞ্চগুলোকে কানায় কানায় পূর্ণ করে যাত্রী নিতে দেখা যায়। লঞ্চে উঠতে অনেক যাত্রী ঝুঁকিও নিচ্ছেন। এছাড়া অতিরিক্ত কোনো ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ নেই যাত্রীদের। তবে কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি। ঢাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে তারা শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। ঝুঁকি কম ও ভাড়া কম থাকায় লঞ্চে যেতেই আগ্রহ যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, ঈদ যাত্রায় সকাল থেকেই লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের বাড়তি চাপ লক্ষ্য করা গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই যাত্রী লোড করে ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতে কোনো লঞ্চ চলাচল না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।