রাজধানীর বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট কিংবা রেলস্টেশনে এখন জনস্রোত। তেমনই অবস্থা গাবতলী বাস টার্মিনালের।
সরেজমিনে টার্মিনাল ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। যাদের অগ্রিম টিকিট করা ছিলো তারা আগে থেকেই এসে কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন। তবে যাদের টিকিট করা নেই তারা বাড়তি টাকা দিলেই মিলছে টিকিট।
তবে এবার যাত্রীদের চোখে মুখে এক ধরনের স্বস্তি দেখা গেছে। বাসে যাত্রার ক্ষেত্রে কিছুটা সিডিউল বিপর্যয় ঘটলেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে।
চুয়াডাঙ্গার যাত্রী মো. উজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাস দেড়টায়, যখন কথা হচ্ছিলো তখন ১২টা ৫০মিনিট। আমি পূর্বাসা কাউন্টারে খোঁজ নিয়েছি গাড়ি লাইনেই আছে। আশাকরি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
গোল্ডেন লাইনের যাত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, আমাদের গাড়ি যাওয়ার কথা দুপুর একটায়। কাউন্টারে খোঁজ নিয়েছি গাড়ি চলে আসছে। এবার টাইম মেনেই গাড়ি ছাড়ছে, এজন্য ভালো লাগছে।
টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টিকিটের গাড়িতে ভিড় কম থাকলেও লোকাল বাসে রয়েছে উপচে পড়া মানুষের ভিড়। গাড়ি ধরতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ।
এক্ষেত্রে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী-ই ভাড়া গুণতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। তারা বলছেন, যেখানে অন্যান্য সময় পাটুরিয়ার ভাড়া ১০০ টাকা, আজ নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এই ভাড়া এক এক গাড়িতে এক এক রকম।
তবে অনেকে কম খরচে ভ্রমণের জন্য বাসের ছাদে চেপে বসেছেন। ছাদে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দেড়শ থেকে দুইশ টাকা।
গাবতলী টার্মিনালের পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিকেলে যাত্রীদের চাপ সামলানো বেশ কষ্ট সাধ্য হবে। সেক্ষেত্রে গাড়ির সিডিউলেও হেরফের হতে পারে। কারণ বিকেলে অফিস-আদালত ছুটি হয়ে যাবে, তখন যাত্রী ধরতে লোকাল বাসও রাস্তায় নামতে। তখন যানজটও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এসএম/এমএ