ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাদুল্যাপুরে ভুয়া তথ্য কমিশনার আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
সাদুল্যাপুরে ভুয়া তথ্য কমিশনার আটক আটক প্রতারক জহুরুল ইসলাম জাহিদ

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী তথ্য কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে জহুরুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জহুরুল একই উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে মৃত্যু জামাল উদ্দিনের ছেলে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাহিদ সরকারী দফতর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সহকারী তথ্য কমিশনার (বার্তা নিয়ন্ত্রক প্রশাসনিক) পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু জাহিদের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা।  

এরপর রোববার বিকেলে জাহিদ তার কাছে এসে ছেলের সুন্নতে খৎনা অনুষ্ঠানের দাওয়াত দেয়। দাওয়াতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অনেকে অতিথি হয়ে তার বাড়িতে আসবেন বলেও জানান। তবে জাহিদের ভুয়া পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদ ৩২তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উর্ত্তীণ হয়ে সহকারী তথ্য কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে।  

আটকের সময় জাহিদের কাছ থেকে নিজ নামের তথ্য কমিশনার পরিচয়ের ভিজিটিং কার্ড, সমাজ সেবা অধিদফতরের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্র ও বাস-ট্রাক ওনার্স গ্রুপের শিক্ষক পরিচয়ের একাধিক আইডি কার্ড পাওয়া যায়।  

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, জাহিদ ভুয়া পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দফতর,পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আউট সোর্সিং এ চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রামাঞ্চলের সহজ-সরল মানুষের কাছে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। জাহিদ কার মাধ্যমে ও পরামর্শে এসব প্রতারণা করছেন এবং তার সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

এ নিয়ে জাহিদের বিরুদ্ধে সাদুল্যাপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে জাহিদের কাছে চাকরির টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) জুয়েল মিয়া।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিছুদিন আগে জাহিদ তার কাছে ছয় লাখ টাকা নেয়। পরে তিনি পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের একটি নিয়োগপত্র দেয়। কিন্তু পল্লী উন্নয়ন বোর্ডে গিয়ে নিয়োগপত্রটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। এরপর থেকে জাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ