ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সীমান্তে হঠাৎ সেনা-বিজিপি বাড়িয়েছে মিয়ানমার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
সীমান্তে হঠাৎ সেনা-বিজিপি বাড়িয়েছে মিয়ানমার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত (ফাইল ফটো)

বান্দরবান: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে হঠাৎ করেই ভারী অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর সদস্য ও সীমান্ত পুলিশের (বিজিপি) সংখ্যা বাড়িয়েছে মিয়ানমার।

শনিবার (১৮ আগস্ট) ও রোববার (১৯ আগস্ট) বান্দরবানের থানচি ও আলীকদম সীমান্ত, নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, আশারতলি, তুমব্রু ও ঘুনধুম সীমান্তে সেনা সদস্য ও সীমান্ত পুলিশ বিজিপির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করতে দেখা যায়।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞের এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে।

এসময় মিয়ানমারে প্রতিশোধমূলক হামলা হতে পারে- এমন আশঙ্কায় সীমান্তে ভারী অস্ত্রসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।  

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরের পাশেও সেনা সংখ্যা ও টহল বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ করে সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়ানোর কারণে জিরো লাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবদুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের পুরো সীমান্তজুড়ে হাঠাৎ করে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। আগামী ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরসা নতুন করে প্রতিশোধমূলক হামলা করতে পারে- এমন সংবাদ মিয়ানমারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশ পেয়েছে। এর সূত্র ধরেই মিয়ানমার হয়তো সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে থাকতে পারে।

বিজিবি’র বান্দরবান সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ মুহূর্তে সীমান্তে উত্তেজনা নেই। তবে সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নিয়মিত যৌথ টহল অব্যাহত রেখেছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে থাকে ধারাবাহিকভাবে। এমন প্রেক্ষাপটে নিধনযজ্ঞের বলি হওয়া থেকে বাঁচতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় দশ লাখে। এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।