রোববার (১৯ আগস্ট) সকালে নিখোঁজ আয়েশার ভাই বশির হোসেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানায় গিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহের ছবি দেখে তার বোন বলে ধারণা করছেন।
জানা যায়, চার বছর আগে সেলিম মন্ডলকে পছন্দ করে বিয়ে করেন বিরুলিয়ার সামাইর গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের মেয়ে আয়েশা আক্তার বকুল।
আয়েশার বড় ভাই বশির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৮ জুলাই বোন আয়েশা এলাকার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। সেদিন সেলিম মন্ডল তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। এ নিয়ে সেলিমের সঙ্গে আয়েশার কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় তার স্বামী তাকে ব্যবস্থা করতেছি বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনার চারদিন পর ২ আগস্ট থেকে আয়েশা নিখোঁজ হয়। পরদিন সেলিম সাভার থানায় বিষয়টি জানিয়ে একটি জিডি করেন।
এদিকে ৩ আগস্ট সাভার উপজেলার পার্শ্ববর্তী সিঙ্গাইরের বায়ড়া ইউনিয়নের জামালপুর এলাকার রাস্তার পাশ থেকে সারা শরীর আগুনে পোড়া অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে আয়েশাকে না পেয়ে রোববার (১৯ আগস্ট) সকালে সিঙ্গাইর থানায় গিয়ে উদ্ধার হওয়া আগুনে পোড়া নারীর মরদেহের ছবি দেখে বশির ধারণা করেন এটি তার নিখোঁজ হওয়া বোন হতে পারে।
এ ঘটনায় এদিন সন্ধ্যায় সাভারের বিরুলিয়া এলাকার সামাইর গ্রামে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা সেলিম মন্ডলের ভাই বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মন্ডলকে অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করে।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগুনে পোড়া এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি সাভার থানার নিখোঁজ হওয়া আয়াশা আক্তার বকুলের কিনা তা সাভার থানা পুলিশ এবং নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করবে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলানিউজকে বলেন, সেলিম মন্ডল তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে নিখোঁজ হওয়া ওই নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
জিপি