ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সাত মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন, মামলা হয়নি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
সাত মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন, মামলা হয়নি খাগড়াছড়ি শহর

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির স্বণির্ভর এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৬ জনসহ সাতজনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে খাগড়াছড়ি ও পানছড়ির স্থানীয় শ্বশ্মানে তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

এরমধ্যে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক এলটন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সহ সভাপতি পলাশ চাকমার খাগড়াছড়ির দক্ষিণ খবং পুড়িয়া শ্বশ্মানে সম্পন্ন হয়।
 
জীতায়ন চাকমার শেষকৃত্য উত্তর খবং পুড়িয়া শ্বশ্মানে এবং রুপম চাকমার শেষকৃত্য পারিবারিক শ্বশ্মানে সম্পন্ন হয়।

খাগড়া জেলা সদরের শিব মন্দির এলাকায় শন কুমার চাকমা এবং পানছড়ির উগলছড়িতে ধীরাজ চাকমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
 
এদিকে ঘটনার একদিন পার হয়ে গেলেও এখনো মামলা হয়নি। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার (২০ আগস্ট) খাগড়াছড়িতে অর্ধদিবস সড়ক অবরোধ পালন করবে ইউপিডিএফ সমর্র্থিত তিনটি পাহাড়ি সংগঠন।
 
এদিকে খাগড়াছড়িতে শনিবার দুর্বৃত্ত হামলায় ৬ জন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভুত পরিস্থিতি উত্তোরণে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। স্বনির্ভর বাজার, আশপাশের এলাকা ও বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। এদিকে অবৈধ অস্ত্র উদ্বার ও অপরাধীদের ধরতে যৌথবাহিনীর ‘চিরুণী’ অভিযান শুরু হয়েছে। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে জেলা সদরের ১নং যৌথখামার এলাকায় যৌথবাহিনীর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। সন্দেহজনক হলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
 
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমদ খান বাংলানিউজকে জানান, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান চলছে। আপাদত আগামী এক সপ্তাহ এ অভিযান চলবে। এদিকে ঘটনা তদন্তে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে।  
 
শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে স্বনির্ভর বাজারে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৬ জন এবং দুপুরে পেরাছড়া এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্কের কারণে আছড়ে পড়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আরো একজন নিহত হয়।
 
গতকালের ঘটনার পর থেকেই স্বনির্ভর বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আতঙ্কিত লোকজন কথা বলতেও সাহস করছেন না। কবে নাগাদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে তাও কেউ বলতে পারছেনা।
 
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কেন এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটি তদন্তে কমিটি করেছি। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি নামানো হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad