জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার (১৯ আগস্ট) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত করে সংসদের আগামী অধিবেশনে পাসের সুপারিশ করা হয়েছে।
সভাপতি বেগম রেবেকা মমিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ফজিলাতুন নেসা এবং মনোয়ারা বেগম অংশ নেন।
গত ২৫ জুন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি ‘যৌতুক নিরোধ বিল-২০১৮’জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়, কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য যৌতুকের মামলা বা অভিযোগ করলে পাঁচ বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। এছাড়া যদি কোনো এক পক্ষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অন্য পক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করে, তবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে বিলে। এই আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য হবে। তবে আপসযোগ্য হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৮০ সালের এ সংক্রান্ত আইনটি বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি সংসদে তোলা হয়েছে। ১৯৮০ সালের ওই আইন ১৯৮২, ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। আগের আইনে যৌতুক নিয়ে মিথ্যা মামলার জন্য কোনো দণ্ডের বিধান ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এসএম/জেডএস