শনিবার (১৮ আগস্ট) রাতে মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গাজী কালুর মেহমানখানা নামে ৫ তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটি বাড়ি, খান বাড়ি জামে মসজিদ ও দিলু খাঁর দ্বিতল পাকা বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া শনিবার দুপুর থেকে এ পর্যন্ত নড়িয়া-মুলফৎগঞ্জ সড়কের বাঁশতলা, পুর্ব নড়িয়া স্কুল সংলগ্ন ও গাজীকালুর বাড়ীর সংলগ্ন পয়েন্টে প্রায় ২শ’ মিটার সড়ক পদ্মায় বিলীন হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা শহর, নড়িয়া পৌরবাজার, পৌর ভবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, নড়িয়া সরকারি খাদ্য গুদাম, নড়িয়া সরকারি কলেজ, নড়িয়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয়, নড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মুলফৎগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসাসহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা।
গত ৭ আগস্ট দুপুরে হঠাৎ করে নড়িয়ার সাধুরবাজার লঞ্চঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা ধসে গিয়ে কয়েকটি যানবাহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৩০ জন লোক নদীতে তলিয়ে যায়। এদের মধ্যে নিখোঁজ হয় ৯ জন। নিখোঁজের ৭ দিন পর চাঁদপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও বাকিদের এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পদ্মার ভাঙন থেকে নড়িয়া শহরকে বাঁচাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য তাৎক্ষণিক ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত ১১ জুলাই থেকে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে নড়িয়ার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায়।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মার ভাঙন থেকে নড়িয়া শহরকে বাঁচাতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। গত ১১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত আমরা প্রায় ১ লাখ ব্যাগ নদীতে ফেলেছি। যে এলাকায় ব্যাগ ফেলা হয়েছে সে এলাকা দিয়ে ভাঙন কমেছে। যে এলাকায় বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানেও বালু ভর্তি ব্যাগ ফেলা হবে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার দুপুর থেকে নড়িয়া-মুলফৎগঞ্জ সড়কের কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেয়। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে নড়িয়া-মুলফৎগঞ্জ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া রাত ৯টার দিকে মুলফৎগঞ্জ বাজার সংলগ্ন গাজী কালুর মেহমান খানা নামে বিলাসবহুল বহুতল ভবনসহ একটি মসজিদ ও আরো কিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে নড়িয়া উপজেলা শহর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
আরএ