রোববার (১৯ আগস্ট) নাটোর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুর সিদ্দিক এ রায় দেন। এ মামলার দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার বিয়াস গ্রামের মো. মোজাহার আলী ওরফে মোজা ফকিরের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান ওরফে হাফিজ, খলিলুর রহমানের ছেলে মো. বুলু, মৃত খবির উদ্দিনের ছেলে খলিলুর রহমান ওরফে খলিল ও একই এলাকার রহেদের ছেলে মজিবর রহমান ও গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর বিলহরিবাড়ী এলাকার আবুলের ছেলে মনির হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুইজন হলেন- গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর বিলহরিবাড়ী গ্রামের বয়েন উদ্দিনের দুই ছেলে আব্দুল হাকিম ও নজরুল ইসলাম ওরফে দুদু।
নাটোর জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০০৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের বিয়াস গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে আব্দুল কাদের দুদুকে আসামি বুলুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে নজরুল ও হাফিজুর ডেকে নিয়ে যান। তারা আব্দুল কাদেরকে বিয়াস বাজারে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে কাদেরের স্ত্রী জয়নব বিবি স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামীকে বেঁধে রাখার কারণ জানতে চান। এসময় আসামিরা নির্মাণাধীন একটি হাসপাতালের কন্সট্রাকশন কাজের জন্য দুদুর করা চাঁদাবাজির মামলা নিয়ে কথা তোলেন।
একপর্যায়ে কাটা রাইফেল দিয়ে দুদুকে গুলি করেন আসামি বুলু। এতে ঘটনাস্থলেই দুদুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুদুর স্ত্রী জয়নব বিবি বাদী হয়ে বুলুসহ ৯ জনকে আসামি করে ওইদিন দুপুরে সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি ও ১২ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
তিনি আরো জানান, এ মামলায় মোট নয়জন আসামির মধ্যে দুইজন আসামি মামলা চলাকালীন সময়ে মারা গেছেন। চারজন পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন একজন। অপর তিন আসামির উপস্থিতিতে বিচারক মামলার রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮ আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা
এনটি/এমএ/