সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রেনের ছাদে ওঠা ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মোতায়েন করা হয়েছে রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত জনবল।
রেলওয়ে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, ঘরমুখো যাত্রীদের ছাদে ওঠা বন্ধ করতে প্রথমে টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যারা ছাদে চড়েন, এদের প্রায় সবাই বিনা টিকিটের যাত্রী। এই পদক্ষেপ কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এরপর প্ল্যাটফর্মে হঠাৎ যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিনা টিকিটে কাউকে পাওয়া গেলে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। কর্মকর্তারা টহল দিয়ে অধঃস্তনদের ওপর নজরদারি করছেন। প্ল্যাটফর্মের ছাদ, টিনের চালা, ওভারব্রিজ ও যেসব স্থান দিয়ে মানুষ ছাদে ওঠে সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া দুই রেললাইনের মধ্যেও ছয়জন পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
রেল পুলিশের কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় ছাদে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো এটা একটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই অসম্ভবটাকেই আমরা সম্ভব করবো এবং আমার সহকর্মীরা সেটা করে দেখিয়েছেও।
তিনি বলেন, সবাই প্রিয়জনের সঙ্গে উৎসবে অংশ নিতে যে কোন মূল্যে বাড়ি যেতে চায়। কিন্তু সবার আগে প্রয়োজন নিরাপত্তামূলক নিশ্চয়তা। এর সঙ্গে কোনো আপোষ চলে না। আমরা তাই কাউকে ঝুঁকি নিতে দেব না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, কমলাপুর থেকে যদি ট্রেনের ছাদে কাউকে উঠতে না দেওয়া হয়, তাহলে বিমানবন্দর থেকেও কাউকে উঠতে দেওয়া হবে না। কমলাপুর থেকে ছাদ ভরা মানুষ আসলে এখানে কিছুই করার থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
আরএম/আরআর