ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোরেই বরিশাল নদীবন্দরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
ভোরেই বরিশাল নদীবন্দরে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বরিশাল নদীবন্দরে মানুষের ভিড়। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। উৎসবের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ততোই বাড়ছে বরিশাল নদীবন্দর ও বাস টার্মিনাল ঘিরে।

ব্যক্তি মালিকানাধীন লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিনের যাত্রায় উপচেপড়া ভিড় না থাকলেও স্বাভাবিক দিনের থেকে যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশ কয়েকগুণ বেশি।

নদীবন্দর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানীর সদরঘাট ত্যাগ করতে শুরু করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো।

ধারাবাহিকতায় ভোর ৪টা থেকে বরিশাল নদীবন্দরে লঞ্চগুলো এলে বেড়ে যায় যাত্রীদের ভিড়। তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে যায় গোটা নদীবন্দর ও আশপাশের এলাকা।

নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী রোববার (১৯ আগস্ট) ভোর ৪টায় প্রথমে ঢাকা থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের নিয়ে বরিশালে এসে পৌঁছায় এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি। এরপর একে একে এমভি সুন্দরবন-১১, সুরভী-৯, ফারহান-৮সহ ডজনখানেক লঞ্চ আসে। তাতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে বন্দর এলাকা।

এছাড়া ভায়া রুটের লঞ্চগুলো বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রী নামিয়ে পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেয়। সঙ্গে ভোর সোয়া ৪টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ এমভি মধুমতিও যাত্রী নিয়ে বরিশালে এসে পৌঁছায়। বরিশাল নদীবন্দরে মানুষের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজএদিকে, সরাসরি রুটের লঞ্চগুলো বন্দরের পল্টুনে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েই আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। একরকম খালিই ঢাকায় যাত্রা করে এসব লঞ্চগুলো।

নিরাপদে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে বরিশালে পৌঁছাতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ে সকালে লঞ্চ থেকে নামলেও ঈদের এই সময়টায় মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমেও তাদের চোখে-মুখে কোনো ঘুম বা ক্লান্তিভাব ছিল না।
 
বিআইডব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক দিনের থেকে অনেক বেশি। তবে এ ভিড় রোববার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে আরও বেশি হবে।

যাত্রীদের নিরাপত্তায় বন্দর এলাকাসহ গোটা বরিশাল নগরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। যারা তাৎক্ষণিক বন্দর এলাকা ত্যাগ করতে চান না তাদের জন্য টার্মিনাল ভবনের সামনে আলাদা বসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেখানে সূর্যোদয় পর্যন্ত নিরাপদেই অপেক্ষা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌ-বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন।

নদীবন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় মধ্যরাত থেকেই বিআইডব্লিউটি-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশ, মেট্রোপলিটনের কোতায়ালি মডেল থানা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, বরিশাল সদর ও নৌ ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। যার মধ্যে পুলিশের নারী সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

অপরদিকে, রাত ৩টা থেকেই বন্দরভবন ও আশপাশের সড়কে বিভিন্ন গণপরিবহন সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষমান ছিল। এছাড়া সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও তৎপর থাকতে দেখা গেছে

বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।