শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পৃথক কয়েকটি ঘটনায় তারা আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর পুলপাড় পাবনা হাউজিং গলিতে ছুরিকাঘাতে আহত হয় আলীম (১৭) ও রাকিবুল ইসলাম (১৬) নামে দুই কিশোর। এছাড়া ঢাকা উদ্যান স্ট্যান্ডে ছুরিকাঘাতে আহত হন মনির হোসেন (৩০) নামে এক পিকআপ চালক।
আহত আলীম ও রাকিবুল বাংলানিউজকে জানায়, তারা দুইজন ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডে একটি খাবারের দোকানে কাজ করে। থাকে পাবনা হাউজিং গলিতে। সোহাগ নামে এক বন্ধুকে নিয়ে তারা দুইজন ঘুরতে যায় মোহাম্মদপুর বাবরি মসজিদ গলিতে। সেখানে ওই এলাকার মেহেদী, আরমান, শাওনসহ ৮-১০ জন কিশোর আলীম ও রাকিবুলকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে তার বন্ধুরা তাদের উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসে।
ঢামেক হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বাংলানিউজকে বলেন, আলীমের বাম হাতে ছুরিকাঘাত লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আর রাকিবুলের মাথায় আঘাত লেগেছে। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়। তাকে মাথার সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা উদ্যান স্ট্যান্ডে কিছু লোকের ঝগড়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন পিকআপ চালক মনির। পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার মাথায়, নাকে ও ডান হাতে আঘাত রয়েছে।
মনির হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা উদ্যানের ১ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসায় থাকেন মনির।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বাংলানিউজকে বলেন, পৃথক দুই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে তিন জন আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে ছুরিকাঘাতে হেলাল (২২) ও তারেক (২১) নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদেরই পরিচিত কয়েকজন তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। পরে বস্তির অন্যান্য বাসিন্দারা তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এছাড়াও উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে জসীম (২৫) নামে আরেক যুবক আহত হয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া এ দু’টি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
ওইদিকে, বংশালের নাজিরাবাজার এলাকার ছোটন (১৯) নামে আরও এক যুবককে ছুরিকাহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্নস্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ছোটন বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এলাকার কয়েকজন যুবক আমাকে ছুরিকাঘাত করে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এজেডএস/পিএম/টিএ