সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগের দুই দিন আরও ভিড় বাড়বে।
দক্ষিণের লঞ্চগুলোর বেশিরভাগের সময়সূচি সন্ধ্যার পর অর্থাৎ ৭টা, ৮টা এবং রাত ৯টায়।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি সদরঘার লঞ্চ টার্মিনালে যেমন মানুষের ঢল ছিল, বিপরীতে লঞ্চের কর্মীদের হাঁক-ডাকে মুখর ছিল বিভিন্ন পন্টুন।
চরফ্যাশনগামী এমভি কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের স্টাফ রিপন যাত্রী তুলতে ডাক ছাড়ছিলেন। তাদের লঞ্চ ছাড়বে রাত ৮টায়। পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও লঞ্চে তেমন নেই। বাংলানিউজকে রিপন বলেন, শুক্রবারের (১৭ আগস্ট) চেয়ে শনিবার ভিড় বেড়েছে, আরও ভিড় হবে রোববার (১৯ আগস্ট)।
আট নম্বর পন্টুনে বাঁধা শৌল-মুলাদীগামী মানিক-৫। এই লঞ্চটি ছাড়বে রাত পৌঁনে ৯টায়। ফিরোজ হোসেন নামে একজন স্টাফ বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের চাপ বাড়বে আরও একদিন পর। যাত্রী না হলেও যথা সময়েই ছাড়ছে সব নৌ-যান। বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে এসেছেন রুস্তম আলী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখন ভিড় কম তাই আগেভাগেই যাচ্ছি।
মুন্সিগঞ্জের নাজিরপুরগামী শ্রীনগর-৩ লঞ্চটি ছয় নম্বর পন্টুনে বাঁধা। তার সামনে টিকিট বিক্রি করছিলেন একজন। আর টিকিট কাটতে লাইন ধরে ছিলেন ছয়েক যাত্রী। ভিড় কম বলে টিকিট পেতে হয়রানি হতে হয়নি কাউকেই।
এদিকে, ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপরতা দেখা যায় আশপাশের এলালায়। তবে সদরঘাট অভিমুখে যানজটে মানুষের বিড়ম্বনাও কম ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/টিএ