ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সদরঘাটেও ভিড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
সদরঘাটেও ভিড় সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড়। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি এবং পশু কোরবানি দিতে নিজ নিজ গন্তব্যে পাড়ি জমাচ্ছে রাজধানীর মানুষ। বাড়িমুখী বাস, ট্রেনের পাশাপাশি পানিপথে লঞ্চেও মানুষের ঢল নামছে। ঈদের আরও তিন দিন বাকি থাকলেও শনিবার (১৮ আগস্ট) সদরঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগের দুই দিন আরও ভিড় বাড়বে।

দক্ষিণের লঞ্চগুলোর বেশিরভাগের সময়সূচি সন্ধ্যার পর অর্থাৎ ৭টা, ৮টা এবং রাত ৯টায়।

সেই সূচি নিয়ে যাত্রী ধরতে বিকেলে সদরঘাট লঞ্চঘাটে হাঁক-ডাক দিচ্ছেলেন লঞ্চের কর্মীরা।

বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি সদরঘার লঞ্চ টার্মিনালে যেমন মানুষের ঢল ছিল, বিপরীতে লঞ্চের কর্মীদের হাঁক-ডাকে মুখর ছিল বিভিন্ন পন্টুন।

চরফ্যাশনগামী এমভি কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের স্টাফ রিপন যাত্রী তুলতে ডাক ছাড়ছিলেন। তাদের লঞ্চ ছাড়বে রাত ৮টায়। পন্টুনে যাত্রীদের ভিড় থাকলেও লঞ্চে তেমন নেই। বাংলানিউজকে রিপন বলেন, শুক্রবারের (১৭ আগস্ট) চেয়ে শনিবার ভিড় বেড়েছে, আরও ভিড় হবে রোববার (১৯ আগস্ট)।

আট নম্বর পন্টুনে বাঁধা শৌল-মুলাদীগামী মানিক-৫। এই লঞ্চটি ছাড়বে রাত পৌঁনে ৯টায়। ফিরোজ হোসেন নামে একজন স্টাফ বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের চাপ বাড়বে আরও একদিন পর। যাত্রী না হলেও যথা সময়েই ছাড়ছে সব নৌ-যান। সদরঘাটে যাত্রীদের ভিড়।  ছবি: শোয়েব মিথুন বরিশাল যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে এসেছেন রুস্তম আলী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এখন ভিড় কম তাই আগেভাগেই যাচ্ছি।

মুন্সিগঞ্জের নাজিরপুরগামী শ্রীনগর-৩ লঞ্চটি ছয় নম্বর পন্টুনে বাঁধা। তার সামনে টিকিট বিক্রি করছিলেন একজন। আর টিকিট কাটতে লাইন ধরে ছিলেন ছয়েক যাত্রী। ভিড় কম বলে টিকিট পেতে হয়রানি হতে হয়নি কাউকেই।

এদিকে, ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপরতা দেখা যায় আশপাশের এলালায়। তবে সদরঘাট অভিমুখে যানজটে মানুষের বিড়ম্বনাও কম ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।