ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মধ্যরাত পর্যন্ত বেচা-কেনা চলে গোবিন্দাসী গরুর হাটে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
মধ্যরাত পর্যন্ত বেচা-কেনা চলে গোবিন্দাসী গরুর হাটে গোবিন্দাসী গরুর হাট

টাঙ্গাইল: জমে উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী গরুর হাট। হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পাশাপাশি বিক্রি বেড়েছে মহিষ, ছাগল, ভেড়ার। ফ্ল্যাড লাইটের ব্যবস্থা থাকায় রাত ১২টা পর্যন্ত এ হাটে কেনা বেচা চলছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীরা গোবিন্দাসীর হাট থেকে কম দামে গরু কিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছেন। হাটে উপজেলা প্রাণিসম্পদের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম গরুর চিকিৎসা ও রোগ সনাক্তের কাজ করছেন।

সোনালী ব্যাংকের লোকজন মেশিন দিয়ে হাটে জাল টাকা সনাক্তের কাজ করছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ টহল দিচ্ছেন।

কুমিল্লা থেকে গরু কিনতে আসা ব্যবসায়ী তাহের আলী বাংলানিউজকে জানান, ঈদের শেষ সময়ে গরুর একটু দাম থাকবে। তারপরও তুলনামূলকভাবে এ হাটে গরুর দাম কিছুটা কম। তবে হাটে খাজনা বেশি। ঈদকে কেন্দ্র করে হাট ইজারদাররা খাজনা বেশি আদায় করছে।
 
হাট ইজারাদার জানান, ইউএনও ঝোটন চন্দ যোগদানের পর থেকেই গোবিন্দাসী গরুর হাট উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। আগে গরুর হাটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হতো। এখন হাটে মাটি ভরাট, গেট নির্মাণ, অফিস ঘর নির্মাণ, ডোগা নির্মাণ, হাটের চারপাশে ফ্ল্যাড লাইট, বাউন্ডারি নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গরুর ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি রাজস্ব আদায় করে হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। ঈদুল আজহার পূর্বে সাময়িকভাবে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ১২টি হাটের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করে ৪৭ লাখ ১০ হাজার টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে।  

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলামূর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হাটে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। গোবিন্দাসী গরুর হাটে এনথাক্স বা কোন ধরনের কঠিন রোগের গরু পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কিছু খোড়া রোগের গরু পাওয়া গেছে।
 
গোবিন্দাসী গরুর হাটের ইজারাদার হান্নান সরকার ও লিটন মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, হাটের পরিবেশ ভাল হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি সরকারি রাজস্ব দিয়ে হাট ইজারা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই হাটকে কেন্দ্র করে স্থানীয় অনেক লোকজনের জীবিকা নির্বাহ করছে।
 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঝোটন চন্দ বাংলানিউজকে জানান, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। পুরো হাটে ফ্ল্যাড লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরের গরুর ব্যবসায়ীদের জন্য হাটে টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া হাট পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।