ফলে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে মহাসড়কে গরুর হাট না বসাতে প্রশাসনের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না হাট কর্তৃপক্ষ।
শহরের গুরুদম, রাজাপুরের বাঘরী, নলছিটির শ্রীরামপুর, শিমুলতলা ও দপদপিয়া জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় পশুর হাট বাসানো হয়েছে। এসব হাট বন্ধ করা না হলে সাধারণ মানুষের উপকারের চেয়ে ভোগান্তি বেশি হবে বলে জানিয়েছেন যানবাহন চালকরা।
এদিকে ঝালকাঠির রাজাপুরের বাঘরী বাজারের মধ্যে হাটের নির্ধারিত স্থান থাকা সত্ত্বেও আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর পশু বেচা-বিক্রির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ফলে বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি সড়কের পাশের দক্ষিণ বাঘরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করেও পশু বেচা-বিক্রির কার্যক্রম চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) ও রোববার নির্ধারিত সাপ্তাহিক হাটের দিন হলেও কোরবানিকে ঘিরে শেষ সময়ে প্রায় দিনই হাট বসছে।
মহাসড়ক ও স্কুল মাঠে পশুর হাট বসানো যাবে না বলে জানিয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা বেগম পারুল বাংলানিউজকে জানান, এভাবে কেউ হাট বসালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমএস/এএটি