শনিবার (১৮ আগস্ট) পৃথক বার্তায় এ শোক জানানো হয়। শোক বার্তায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কফি আনান বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আজীবন কাজ করে গেছেন।
‘জাতিসংঘকে নতুনভাবে গড়ে তোলা ও মানবিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকার রাখার জন্য বিশ্ববাসী চিরকাল তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। ’
স্পিকার বলেন, কফি আনানের বড় অর্জন ছিল 'সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা' নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন। তার এ উদ্যোগের ফলে বিশ্ব নতুন করে আরো এগিয়ে যায়।
কফি আনানের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজও গভীর শোক জানিয়েছেন।
এর আগে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে শনিবার সকালে হাসপাতালে মারা যান ৮০ বছর বয়সী চিকিৎসাধীন কফি আনান।
ঘানার এ কূটনীতিক বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে থাকতেন। সেখানকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত জাতিসংঘ মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেন কফি আনান।
ওই সময়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য ২০০১ সালে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি নোবেল পুরস্কার পান।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালনের পর কফি আনান জাতিসংঘ-আরব লিগের বিশেষ দূত হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে সংকট নিরসনে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়েও ফল না আসায় হতাশ হন তিনি।
সবশেষ মিয়ানমার রাখাইনে দমন-পীড়ন চালিয়ে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি করলে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ কমিশন গঠনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চালান কফি আনান। তার নামে গঠিত ‘আনান কমিশনে’র সুপারিশমালা ব্যাপক প্রশংসা পায় বাংলাদেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের তরফ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এসএম/এমএ