শনিবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘাট এলাকায় ১০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। এরমধ্যে ট্রাক, যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় এ ঘাট দিয়ে ৬৯টি বাস, ২৪৮টি ট্রাক, এক হাজার ৯৫০টি ছোট গাড়ি পারাপার হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, কে-টাইপ ছয়টি, মাঝারি তিনটি এবং ডাম্প ফেরি পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। তবে ডাম্প ফেরিগুলো সতর্কতা অবলম্বন করে নৌরুটে চলাচল করছে। রাতে ডাম্প ফেরিগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবাহী গাড়িগুলো স্বাভাবিক ভাবেই পার হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় প্রায় ১০০টি গাড়ি রয়েছে। এরমধ্যে ট্রাক ও যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যাই বেশি আছে।
বিআইডাব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে বেলা ১২টার দিকে যাত্রীদের উপস্থিতি কমে গেছে। লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে। ঈদ যাত্রার যেই চাপ লক্ষ্য করা যায় তা এখনো তেমনভাবে পড়েনি।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের লোহজং টার্নিং পয়েন্টের চ্যানেলমুখে গত এক সপ্তাহ ধরে ভয়াবহ নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছিল। চ্যানেল মুখে ফেরি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় সব ফেরি বন্ধ রাখা হয়। এক সপ্তাহ খননকাজ চালিয়ে চ্যানেলমুখের নাব্যতা দূর হলে শনিবার দুপুর ২টা থেকে ১৬টি ফেরি চলাচল শুরু করে।
রোরো ছাড়া অন্য সব ফেরি চলাচল শুরু করেছে। ঘাটে আটকে থাকা পরিবহনগুলো রাতের মধ্যেই পার করা সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
জিপি