ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বানিয়াচংয়ে মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
বানিয়াচংয়ে মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালন বানিয়াচংয়ে মাকালকান্দি গণহত্যা দিবসে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান। এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জানানো হয় শ্রদ্ধা।

 

পরে দুপুরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- এমপি মজিদ খান।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ আকুঞ্জী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, কাগাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এরশাদ আলী, জনাব আলী কলেজের সাবেক ভিপি শাহ নেওয়াজ ফুল মিয়া প্রমুখ।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। তিনি মাকালকান্দি গণহত্যার শিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের সাহায্য কামনা করেন।  

১৯৭১ সালের ১৮ আগস্ট সকালে মাকালকান্দি গ্রামের চণ্ডী মন্দিরে মনসা ও চণ্ডী পূজার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূজারীরা। এ সময় স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় প্রায় ৫০টি নৌকাযোগে খান সেনারা এসে গ্রামে হামলা চালায়। তারা চণ্ডী মন্দিরের সামনে দাঁড় করিয়ে তরণী দাশ, দীনেশ দাশ, ঠাকুর চান দাশ, মনোরঞ্জন দাশ, প্রভাসিনী বালা দাশ, চিত্রাঙ্গ বালা দাশ, সোহাগী বালা দাশসহ ৭৮ জনকে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এর মধ্যে ৪৪ জনই ছিলেন নারী।

হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় পাক বাহিনী লুটে নেয় মূল্যবান সম্পদ। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় অনেক বাড়ি-ঘর। এতে জানমাল, সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তাদের হামলার পরও বেঁচে যাওয়া লোকজন পুনরায় হামলার আশঙ্কায় ভারতে পালিয়ে যান। পথে ডায়ারিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও আন্তত ৫০ জন প্রাণ হারান।

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৬ বছর পর ২০০৭ সালে এলাকাবাসীর দাবির মুখে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে আলম সিদ্দিকীর প্রচেষ্টায় থোক বরাদ্দের অনুদানে সেখানে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।