শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকেই নৌরুটে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। কে-টাইপ, মাঝারি ফেরির সঙ্গে ২টি ডাম্প ফেরি চলাচল করছে নৌরুটে।
মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঘাট এলাকায় বর্তমানে ২০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী ছোট গাড়ির সংখ্যাই বেশি। তবে এটি শিমুলিয়া ঘাটের জন্য স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বাংলানিউজকে জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। নাব্যতা সংকটের কারণে চ্যানেলের মুখে ডাম্প ফেরিগুলো চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের বরাতে তিনি আরোও জানান, ডাম্প ও রো রো ফেরি চালানোর জন্য বর্তমান পরিস্থিতি উপযোগী। তবে নৌরুট ফেরি চালানোর বিষয়ে একই শাখার আরেকটি বিভাগ বলছে, চ্যানেলের মুখে নাব্যতা সংকটের কারণে বড় ফেরি চালানো এখনো উপযোগী নয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত স্পষ্ট।
আর বিআইডব্লিউটিএ’র মেরিন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে জানান, ডাম্প ফেরি চ্যানেলে চালানোর উপযোগী কি-না সেই বিষয়ে ট্রায়াল দেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে ঘাট এলাকায়। ৮৭টি লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। তবে চাপ থাকলেও যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই যাতায়াত করছেন।
সিবোট ঘাটের সুপারভাইজার মো. ওয়াহিদ বাংলানিউজকে জানান, সিবোট ঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সিবোটগুলো ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহন করে চলাচল করছে। তবে ঈদের যেই চাপ তা এখনও শুরু হয়নি বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
জেডএস