ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শনিবার থেকে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
শনিবার থেকে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস  লঞ্চঘাট। ছবি: শোয়েব মিথুন

ঢাকা: ঈদের আর মাত্র ৪দিন বাকি। আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী ছাড়ছে নগরীর মানুষজন। তাই দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক সেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই অংশ হিসেবে শনিবার (১৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস।

তবে ঢাকা থেকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, হুলারহাট, বগাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-রুটে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানিগুলোর স্পেশাল সার্ভিস শনিবার শুরু হলেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সরকারিগুলোর স্পেশাল সার্ভিস। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) থেকেই স্পেশাল সার্ভিসে নেমেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নো-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) অধীনে থাকা সব লঞ্চ ও স্টিমার।

নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রদত্ত তথ্য মতে, ঢাকা বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী বেশ কিছু বড় লঞ্চ শনিবার (১৮ আগস্ট) থেকে তাদের স্পেশাল সার্ভিসে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল এমভি অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, কীর্তনখোলা-২ ও ১০, সুরভী-৭, ৮ ও ৯, সুন্দরবন-৮, ১০ ও ১১, পারাবত-৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২, দ্বীপরাজ, ফারহান-৮, টিপু-৭, কালাম খান-১, গ্রিন লাইন-২ ও ৩। তবে আরো বেশ কিছু লঞ্চ স্পেশাল সার্ভিসে যোগ দিতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

এছাড়া এবারের ঈদে মোট ২১১টি সরকারি ও বেসরকারি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। যার সবগুলোরই ট্রায়াল ও সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  

এদিকে বিআইডব্লিওটিএ ও ঢাকা নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঈদে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে স্বাভাবিক ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঈদে নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন রোধ, ফিটনেস ছাড়া লঞ্চের যাত্রা নিষিদ্ধ, ঈদের আগে ও পরে ৭ দিন করে মোট ১৪ দিন লঞ্চ চলাচলকারী নদীগুলোতে সব বালু পরিবহনকারী ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ, নদী ও বন্দরে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্পেশাল টহল নিশ্চিত করা, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউটস, গার্লস গাইডের সদস্যরা যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা-নামা ও দিক নির্দেশনা দেওয়ার কাজ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আদেশ যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে কিনা বা কেউ আইন অমান্য করছেন কিনা তা তদারকি ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌ-বন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। যার কাজ ইতিমইধ্যে শুরুও হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দল ইতিমধ্যে যাত্রীদের সহায়তায় মাঠে কাজ করছেন বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবীর বাংলানিউজকে বলেন, গত ঈদের পরিস্থিতি যেহেতু সামাল দিতে পেরেছি সেখানে এ ঈদে কোনো সমস্যাই হবেনা। কারণ এ কোরবানির চেয়ে রোজার ঈদে যাত্রী বেশি থাকে। আর সেসময় ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান ছিল, এখন সেটা নেই। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি, আশা করছি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এবারের ঈদ যাত্রা সম্পন্ন করতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
কেডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।