এর মধ্যে অনেক লঞ্চের ডেকের স্থান পরিপূর্ণ না হওয়ার বাহানা, আবার কোনো লঞ্চের পর্যাপ্ত যাত্রী থাকার পরেও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঘাট ত্যাগে বিলম্ব করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) ও ঢাকা নদী বন্দরের কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি ও ঘাট ত্যাগ করতে বললেও তাতে অনেকেই কর্ণপাত করেননি সংশ্লিষ্টরা।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, অধিক যাত্রীবহনের জন্য অপ্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে ঘাট ছাড়ছে না লঞ্চগুলো। অথচ যারা ডেকের যাত্রী গরমে তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আছে তাদের অধিক যাত্রী নিয়ে অধিক মুনাফার পেছনে। ঈদ এলেই তাদের এই তৎপরতা বেড়ে যায় বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে সুরভী লঞ্চের একজন যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সাধারণ সময়ে সঠিক টাইমে লঞ্চ ছাড়লেও ঈদের মৌসুমে দেরিতে লঞ্চ ছাড়া তাদের অভ্যাস। আপনি যতই বলেন এতে কাজ হবে না। তাদের কাছে বেশি সময় ঘাটে থাকা মানে, বেশি যাত্রী আর তত বেশি টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বাংলানিউজকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ের কথা ধরলে লঞ্চ ভরা। তবে ঈদ মৌসুমের জন্য ধরা হলে প্রতিটি লঞ্চেই এখন অনেক জায়গা ফাঁকা। ঈদে একটু বেশি ব্যবসা না হলে কখন হবে?
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ন পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবির বাংলানিউজকে বলেন, এখন তো যাত্রীর চাপ ওই লেভেলে নেই তাই হয়তো একটু লেট করছে। আমরা সময়মতো সব লঞ্চকে ঘাট ত্যাগে বাধ্য করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
কেডি/জেডএস