শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ যাত্রার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ কথা বলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
রেলমন্ত্রী বলেন, বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় যাত্রীর চাপ অনেক বেড়ে যায়।
মুজিবুল হক বলেন, সবসময় আমাদের তদারকির পরও যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় বুঝতে হবে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে হয়েছে। এখানে কর্তৃপক্ষের কারণে কোনো সমস্যা হয়নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী প্রমুখ।
এদিকে শুক্রবার যাত্রী ওঠানামা ও বিলম্বে আসার কারণে স্টেশন থেকে দেরিতে ছেড়ে গেছে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ও চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রায় পৌনে একঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছেড়েছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সোয়া ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর ছাড়ে। এছাড়া চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সোয়া ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মোট ৬৬টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর বাকি ৩৫টি ট্রেন লোকাল ও মেইল সার্ভিস। এরইমধ্যে (বিকেল ৪টা পর্যন্ত) ৩২টি ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে গেছে।
অন্যদিকে বিনা টিকিটে কমলাপুর স্টেশনের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্টেশনে রয়েছেন র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আনসার সদস্যরা। পাশাপাশি যাত্রীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ইএআর/জেডএস