ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ক্যানসার আক্রান্ত বোনকে বাঁচাতে ভাইয়ের আর্তি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ক্যানসার আক্রান্ত বোনকে বাঁচাতে ভাইয়ের আর্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিরোজা আকতার। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর কাজীহাটার মেয়ে ফিরোজা আকতার (৪৭)৷ স্বামী আরিব উদ্দিন একসময় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত থাকলেও এখন বেকার। রাজশাহীর স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের পরীক্ষা করাতে গিয়ে দেখা যায় ফিরোজার রক্তে দুরারোগ্য ক্যানসারের জীবাণু। দুরারোগ্য ক্যানসারের সঙ্গে তার বসবাস। তিনি আক্রান্ত লিউকোমিয়া বা ব্লাড ক্যানসারে।

শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে ঢাকার শাহবাগে বঙ্গবন্ধ‍ু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসা নিতে শুরু করেন।

এ বছরের জুলাই মাসে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অপারগতা প্রকাশ করে রোগীকে বাড়ি নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু হাল ছাড়েনা ফিরোজার পরিবার। ফিরোজার ভাই হাসান আব্দুল্লাহ বাবুল নিজের জীবনের সব সঞ্চয় নিয়ে বোনের পাশে এসে দাঁড়ায়। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ফিরোজাকে ভারতের এএম আরআই হাসপাতালে পাঠান।

হাসান আব্দুল্লাহর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কেমো শেষ, এখন বোনমেরো ট্রান্সফার করাতে হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে হিসাব দিয়েছেন তাতে এখনও তার চিকিৎসা বাবদ আরো ২৫ লাখ টাকা লাগবে।

এদিকে তার পরিবার যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকা নিজেদের শেষ সঞ্চয়, বন্ধু-বান্ধবদের সহায়তা নিয়ে চালিয়েছে। এখন এই অবশিষ্ট টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব, যদি না অন্যরা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। তার কেমো দেওয়া শেষ হয়েছে। ফিরোজা বেগম এখন অর্থ অভাবে একটু একটু করে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ভারতের এএমআরআই হাসপাতালে। ভাইয়ের আশা, অপারেশন করলেই বেঁচে যাবে তার একমাত্র বোন।

কিন্তু মধ্যবিত্তের সংসারে এতো টাকা কোথায়? ভরসা এখন সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার। কেউ আসবে কি সহায়তার হাত বাড়িয়ে?

ফিরোজার ভাই হাসান আব্দুল্লাহ বাবুল ফেসবুকে তার ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, 'বেহুদ্দা হয়ে গেলাম। এতো টাকা দরকার, না পারছি আমি দিতে না পারছি সবার কাছে চাইতে। আবার না পারছি বোনটাকে চিকিৎসা বন্ধ করে বাড়িতে নিয়ে চলে আসতে, যাই হোক সবাই দোয়া করিস, একটাই বোন তো, তাই আরও বেশি কষ্ট পাচ্ছি, আর যদি তোরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে আত্মীয়-বন্ধুর কাছ থেকে সাহায্য করা যায় আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ আছি এবং থাকব'।

সরাসরি কেউ সাহায্য পাঠাতে চাইলে হাসান আব্দুল্লাহর ব্যাংক হিসাবে বা মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বারে পাঠতে পারেন। Md. Hassan Abdullah, একাউন্ট নং 13510191248, ডাচ বাংলা ব্যাংক লি:, রাজশাহী শাখা (Dutch Bangla Bank Ltd,(DBBL) Rajshahi, Bangladesh), রকেট একাউন্ট নং 017122132997, বিকাশ একাউন্ট নং- 01813746288 পারসোনাল।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।