সীমান্তবর্তী এ জেলায় এ বছর ভারতীয় গরুর আমদানি অনেক কম দেখা গেছে। হাট-বাজার দখল করে রেখেছে দেশীয় গরু।
ব্যবসায়ী সলেমান আলী বাংলানিউকে জানান, ঈদকে ঘিরে গত বছর ভারতীয় গরুর অনেক চাহিদা থাকলেও এবার দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এবার বাজারে ভারতীয় গরুর চাহিদা অনেক কমে গেছে। ক্রেতারা দেশীয় গরু খুজছেন সবার আগে।
আব্বাস আলী নামে এক ক্রেতা বাংলানিউকে জানান, দেশি গরু কিনতে চাই। গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেকটা কম। গত বছর যে গরু কিনতে ৩৫ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে, এবার সেই গরু পাওয়া যাচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।
পঞ্চগড় সদরের গরুহাটে কথা হয় বিক্রেতা আব্দুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউকে জানান, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কড়া নজরদারির কারণে ভারতীয় গরু তেমন আসতে পারেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু ভারতীয় গরু আসলেও আগের তুলনায় অনেক কম। এতে অনেক খুশি খামারীরা।
পঞ্চগড়ের খামারীরা জানায়, গত বছরের তুলনায় দাম কম হলেও গরু বিক্রি করে লোকসান হচ্ছে না। সামান্য লাভ হচ্ছে, এতেই তারা খুশি।
ভবিষ্যতে গরু পালন আরও বেড়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খামারীরা। তারা মনে করছেন ভারতীয় গরু না আসলেও দেশের বাজারে খুব সংকট তৈরি হবে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে বাংলাদেশ।
পঞ্চগড় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ঈদে ক্রেতারা যাতে সুস্থ সবল গরু পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই অনেক আগে থেকেই খামারীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বাংলানিউকে বলেন, ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। শান্তি বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। হাট-বাজারসহ সর্বত্র পুলিশের ব্যাপক নজরদারি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এসআই/এসআরএস