ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের আগাম টিকিট দেওয়া হলেও লোকাল ও মেইল ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে যাত্রার দিন। আর নিজ গন্তব্যের টিকিট পেতে শুক্রবার ভোর থেকে কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়।
যাত্রীরা সবাই লোকাল ও মেইল ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে এসেছেন। কাউন্টারে জায়গা স্বল্পতার কারণে টিকিটপ্রত্যাশীদের লাইন একপর্যায়ে স্টেশনের বাইরে চলে যায়। সুশৃংখলভাবে সবাইকে লাইনে দাঁড়াতে সহযোগিতা করছেন আনসার সদস্যরা। এদিকে দিনের প্রথম ট্রেন ভোর ৫টায় বলাকা কমিউটারের মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হয়। কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মোট ৬৬টি ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এরমধ্যে ৩১টি আন্তঃনগর আট বাকি ৩৫টি ট্রেন লোকাল ও মেইল সার্ভিস।
অপরদিকে বিনা টিকিটে কমলাপুর স্টেশনের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্টেশনের মূল ফটকে টিকিট দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। টিকিটবিহীন সবাইকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। ভোর ৪টার দিকে কমলাপুরে এসেছেন টিকিটপ্রত্যাশী সালেহা বেগম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জামালপুর কমিউটার ট্রেনের টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছি। সকাল সাড়ে ১০টায় ট্রেন আছে। এখনও টিকিট পায়নি। তার প্রত্যাশা তিনি টিকিট পাবেন।
সাহাবুল নামে অপর টিকিটপ্রত্যাশী নরসিংদি যাবেন। তিনি বলেন, তিন ঘণ্টা হলো এখনও টিকিট পায়নি। আজ অনেকে বাড়ি যাবে, তাই ভিড় বেশি। টিকিট না পেলে বিনা টিকিটে বাড়ি ফিরবো।
টিকিটবিহীন ট্রেন ভ্রমণ দণ্ডনীয় এ কথা মনে করিয়ে দিলে সাহাবুল বলেন, আগে বাড়ি যেতে হবে, অর্থদণ্ড পরে।
কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, শুক্রবার ৩১টি আন্তঃনগর ট্রেনসহ মোট ৬৬টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ইতোমধ্যে (৭টা পর্যন্ত) ছয়টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে গেছে যথা সময়ে। বাকি ট্রেনগুলোও যথাসময়ে ছেড়ে যাবে। প্রতিদিন ট্রেনযোগে এক লাখ মানুষ ঘরে ফিরবেন বলে আশা করছেন কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু। একইসঙ্গে তিনি সব যাত্রীকে ট্রেনের ছাদে ও বাফারে না ওঠারও অনুরোধ জানান।
স্টেশনে রয়েছে র্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আনসার সদস্যরা। যাত্রীদের তথ্য দিয়ে সহযেগিতা করছেন রোভার স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ইএআর/এএটি