ঈদের মাত্র পাঁচদিন বাকি থাকলেও পশুর হাট এখনো জমে ওঠেনি। হাটে ক্রেতা সাধারণের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় নয়।
ক্রেতারা আশা করছেন, কয়েকদিনের মধ্যে হাটে গরু আসা শুরু করলে দাম কমে আসবে। পছন্দের পশুটি সাধ এবং সাধ্যর মধ্যে কিনে বাড়িতে ফিরতে পারবেন।
বড় আকারের গরুগুলো বিক্রির জন্য দাম হাকানো হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের গরু ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং ছোট আকারের গরু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দাম হাকানো হচ্ছে।
বড় ছাগল (খাসি) বিক্রি করার জন্য দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ছাগল ১৫ থেকে ২০ হাজার এবং ছোটগুলো ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা ক্রেতা বেলাল উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, দাম শুনে মাথা খারাপ হয়ে গেছে। গরুর আকারের সঙ্গে দামের কোনো মিল নেই। দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া।
ক্রেতা সামসুদ্দীন ফরিদ বলেন, বাজার ঘুরে দেখলেও গরু কিনবো আরও কয়েকদিন পর। কারণ বাজারে গরুর দাম বেশি। পছন্দের গরু খুঁজছি।
রাঙামাটির লংগদু উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী হাজী আলম বলেন, এবারের হাটে ১২টি গরু নিয়ে এসছি। সর্বোচ্চ দামে গরু বিক্রি করেছি। বেচা-বিক্রি বাড়লে আরও গরু হাটে তোলা হবে।
গরু ব্যবসায়ী রিয়াজ উদ্দীন জানান, এবারের হাটে তিনি চারটি গরু তুলেছেন। তার প্রতিটি গরু ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বাংলানিউজকে জানান, পশুর হাট জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ কাজ করছে।
জাল টাকা সনাক্তকরণের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পশুর যেকোনো সমস্যা দূরীকরণে অ্যানিমেল মেডিকেল টিম স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এসআই/এসআরএস