জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার অধীনে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগে কর্মরত খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আন্দোলন ও ট্রাফিক সপ্তাহের ফলে মোটামুটি পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে।
রাজধানীর রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরে সারাদেশে নিরাপদ সড়ক চেয়ে আন্দোলন গড়ে তোলে শিক্ষার্থীরা। টানা দশ দিনের মতো চলা এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা আমাদের সড়কে বিভিন্ন ধরনের অসংঙ্গতি তুলে ধরে। চালকসহ জনসাধারণকে রাস্তায় চলাচল করার ক্ষেত্রে সচেতন করার চেষ্টা করে। সরকারও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করে, যা শেষ হয়েছে ১৪ আগস্ট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউমার্কেট মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। জনসাধারণকে রাস্তার মাঝখান দিয়ে পার হতে নিষেধ করছেন। দ্রুতগতির বাইক চালকদের আটকিয়ে দিচ্ছেন। তবে কিছু ক্ষেতে চালকদের সিগন্যাল না মেনে জেব্রা ক্রসিয়ের উপর গাড়ি থামিয়ে লোকজনের রাস্তা পারাপারে বিঘ্ন ঘটানো হচ্ছে।
শাহবাগ মোড়েও পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আগের চেয়ে ফুটওভার ব্রিজ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় জানতে চাইলে বেসরকারি কর্মকর্তা হাবিব-উল আলম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কিছুটা সচেতনতা এসেছে। নিরাপদভাবে রাস্তা হওয়ার জন্য এ ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করছি। তবে শাহবাগের পশ্চিম পাশের এ ব্রিজের বেস্টনি জাদুঘর পর্যন্ত চলে যাওয়ায় অনেক দূর হাঁটতে হয় এজন্য অসুবিধা লাগে। বেস্টনিটা কমিয়ে দিয়ে দরকার।
জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজমুল বলেন, জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়া নিরাপদ, এটা আমাদের সবাইকে বুঝাতে হবে। চলন্ত গাড়ির সামনে দৌড়ে রাস্তা পার হওয়া ঠিক নয়। অপরদিকে উল্টো চিত্রও দেখা গেছে। চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করছে অনেকে। তবে যানবাহনগুলো স্টপেজ অনুযায়ী যাত্রী তুলতে দেখা যায় নি। তবে মোড়ের মধ্যেই গাড়ি থামিয়ে ঠিক আগের মতো যাত্রী উঠানামা করছে তারা। এতে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালীন সময়ে শাহবাগ এলাকায় রোভার স্কাউট্স’র পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন গাজীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শাহরিয়ার ইমতিয়াজ বাঁধন। এ এলাকায় সড়কে কি ধরনের অসঙ্গতি আছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জেব্রা ক্রসিংগুলোর রং উঠে গেছে। আমরা যখন বলি জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে তখন উল্টো আমাদের কথা শুনতে হয়। এ জায়গায় (শাহবাগ পূবালী ব্যাংকের সামনে) ক্রসিংয়ের শেষভাগে চায়ের ভাসমান দোকান ও ভ্যান পড়ে থাকায় লোকজন জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হতে আগ্রহী না। সিটি করপোরেশনের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্রসিংগুলোতে রং করা এবং ভ্যানগুলো সরিয়ে দেওয়া।
মোহাম্মদপুরের গ্রাফিক্স আর্টস কলেজের ছাত্র আসিফ রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাইকের পাশাপাশি কিছু রিকশা ও সাইকেল উল্টোপথে আসে। তারা কোনো ধরনের নিয়ম মানতে চায় না। এ নিয়ম না মানার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসকেবি/এসএইচ